ঢাকা, বুধবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ, যুবলীগের তৃণমূলের কর্মীদের সক্রিয় করার উদ্যোগ

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২৪
চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ, যুবলীগের তৃণমূলের কর্মীদের সক্রিয় করার উদ্যোগ ...

চট্টগ্রাম: নিস্ক্রিয় হয়ে থাকা আওয়ামী লীগ, যুবলীগের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সক্রিয় করতে উদ্যোগ নিয়েছেন তৃণমূলের সাবেক কয়েকজন নেতা। তারা ইউনিয়ন থেকে উপজেলা পর্যন্ত কর্মী ও সমর্থকদের তালিকা তৈরি করে তাদের সুসংগঠিত করার কাজ করবেন।

 

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে নিস্ক্রিয় তৃণমূল নেতা-কর্মী আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বৃহত্তর রিয়াজুদ্দিন বাজার ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সকির আলম এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তৃণমূলের ত্যাগী ও যোগ্য কর্মীরা আজ হারিয়ে যাচ্ছে, মূল্যায়ন বাড়ছে অনুপ্রবেশকারীদের।

তৃণমূল আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে দুর্দিনে যারা ত্যাগীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন, দল ক্ষমতায় থাকার পরেও তাদের অনেকের এখন চলছে দুর্দিন। সুযোগ সন্ধানী, অনুপ্রবেশকারী, হাইব্রিড মার্কা নেতাদের দাপটে আমরা এখন কোণঠাসা। হারিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রামসহ সারাদেশের তৃণমূল আওয়ামী লীগের যোগ্য কর্মীরা। আমরা চাই প্রিয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও অঙ্গসংগঠন এগিয়ে যাক, শক্ত হোক। সুবিধাবাদী মুক্ত হোক।

তিনি আরও বলেন, আন্দোলন সংগ্রামে যারা দলের কাজ করে নাই, বিভিন্ন কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে তদের দলে মূল্যায়ন বেশি হয়েছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ত্যাগী নেতাকর্মীরা মূল্যায়িত হয়নি হাইব্রিড নেতাদের কারণে। অথচ দলের জন্য পূর্বে কোন ত্যাগ তিতিক্ষার ইতিহাস নেই, এসব সুবিধাবাদীরা দলীয় পদবি ব্যবহার করে ফায়দা লুটে নিচ্ছে।

সকির আলম বলেন, আমাদের দলীয় নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ বিশ্বে অন্যতম দেশে পরিণত হয়েছে।  তিনি আজ বিশ্বনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। তাঁকে অনুকরণ করছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ। তাঁর ত্যাগকে ধরে রাখতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগের তৃণমূলে ঝরে পড়া নেতাদের ঐক্যবদ্ধ করে শক্তিতে রূপান্তর করতে চাই। প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি এক সভায় বলেছেন- গত ১১ বছরে দলের প্রায় ১০ লাখ তৃণমূল কর্মী দল থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কেন এরা দল থেকে দূরে সরে গেলো এর জবাব আওয়ামী লীগের নেতাদের অবশ্যই দিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে তৃণমূলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এরমধ্যে বিভাগে বিভাগে সমাবেশ করা হবে। একটি কমিটি করা হবে ওয়ার্ড থেকে থানা পর্যন্ত। প্রতি ওয়ার্ডে ২১ জন থেকে ৩১ জন থাকবে। ইউনিয়নের ৯ ওয়ার্ডে ১ জন করে দূত নিয়ে ১১ জনের একটি ইউনিয়ন কমিটি করা হবে। প্রতি থানায় ৩১ জনের একটি থানা কমিটি হবে। সেখানে প্রতি ইউনিয়ন থেকে একজন দূত থাকবে। জেলা কমিটি হবে ৫১ জনের। ৬৪ জেলা কমিটি থেকে একজন সদস্য করে ৬৪ জনকে নিয়ে ১০১ জনের কেন্দ্রীয় কমিটি হবে। সভাপতি-সেক্রেটারি থাকবে না। একজন করে দূত থাকবে।  

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর রিয়াজুদ্দিন বাজার ইউনিটের সাবেক সভাপতি সৈয়দ নুরুল আকবর, নুরুল ইসলাম, মাস্টার দেলোয়ার হোসেন, আহমদ হোসেন, মাহমুদুর রহমান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২৪
এমআর/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।