চট্টগ্রাম: সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ থেকে দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে কয়লা খালাসের কাজ শুরু হয়েছে। দুইজন নাবিক ফ্লাইটে দেশে ফেরার ইচ্ছে পোষণ করলেও শেষপর্যন্ত ২৩ নাবিক একসঙ্গে ওই জাহাজেই দেশে ফিরবেন বলে মনস্থির করেছেন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ১২টা থেকে কয়লা খালাসের কাজ শুরু হয়। রোববার জাহাজটি বহির্নোঙরের ‘বি অ্যাংকরেজ’ এলাকায় নোঙর করে।
বাংলানিউজকে এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন জাহাজটির মালিক পক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম।
তিনি বলেন, রাত ১২টা থেকে কয়লা খালাস হচ্ছে। কয়লার রিসিভার (মালিকপক্ষ) এসে দেখে গেছে। সবকিছু সুন্দরভাবে চলছে। খালাসের কাজ শেষ হতে সপ্তাহখানেক লাগতে পারে। নাবিকরা সুস্থ আছেন। নাবিকরা একসঙ্গে ২৩ জনই জাহাজেই দেশে ফেরার মনস্থির করেছেন। মে মাসের মাঝামাঝিতে তারা দেশে ফিরবেন আশাকরি।
সূত্র জানায়, মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ সোমালিয়ার দস্যুরা ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি জিম্মি করেছিল। দেশটির উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগর থেকে জাহাজটি জিম্মি করেছিল সশস্ত্র জলদস্যুরা। ৩১ দিন জিম্মি থাকার পর ১৪ এপ্রিল ভোররাতে জাহাজটি জলদস্যু মুক্ত হয়। এ সময় ৬৫ জন জলদস্যু জাহাজটি থেকে বোটে নেমে যায়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুইটি যুদ্ধ জাহাজের পাহারায় এমভি আবদুল্লাহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পার হয়। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে তখন জাহাজের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া, ডেকে হাই প্রেসার ফায়ার হোস বসানো হয়, যাতে জলদস্যুরা ফের হামলা করলে উচ্চচাপে পানি ছিটানো যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৪
এআর/টিসি