ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কল্লোল সুপার মার্কেট নিয়ে সাবেক মেয়রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২৪
কল্লোল সুপার মার্কেট নিয়ে সাবেক মেয়রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ  ...

চট্টগ্রাম: নগরের মিমি সুপার মার্কেট সংলগ্ন কল্লোল সুপার মার্কেট নিয়ে চসিকের সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী ষড়যন্ত্র করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী দোকানিরা।  

রোববার (১৪ জুলাই) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেছেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কল্লোল সুপার মার্কেট দোকান-মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের অর্থ সম্পাদক খোকন মজুমদার।  

লিখিত বক্তব্যে খোকন মজুমদার জানান, কল্লোল সুপার মার্কেটের মূল মালিক আতিয়া বানু।

তিনি ১৯৮৮ সালে সিডিএ থেকে পাঁচতলা বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করার অনুমতি পান। তবে আর্থিক সংগতি না থাকার কারণে তিনি বিভিন্ন জনের কাছে নির্মিতব্য দোকানগুলোর পজেশন সালামির ভিত্তিতে হস্তান্তর করেন এবং ভিন্ন ভিন্ন তারিখে চুক্তিবদ্ধ হন। উক্ত চুক্তিপত্র মূলে কল্লোল সুপার মার্কেট দোকান-মালিক সমবায় সমিতির দোকানদাররা একদিকে দোকানগুলো নিজেই অলিওয়ারিশান স্থলবর্তী পরবর্তীক্রমে ভোগ দখল বা ব্যবসা বাণিজ্য করার অধিকার আইনানুগভাবে লাভ করেন। সম্পত্তির মূল মালিক আতিয়া বানু দোকান মালিকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা সালামি নেন এবং তিনতলা ভবন নির্মাণ করেন। সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী ভবনটি কিনেছেন দাবি করে বেআইনি ও অবৈধভাবে ভেঙে ফেলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন।  

কল্লোল সুপার মার্কেট নামীয় ভবনটি ১৯৮৯-৯০ সালে বহুতল ভবনের ফাউন্ডেশন দিয়ে শুধু তিনতলা পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়। যার ভীত, ফাউন্ডেশন অত্যন্ত মজবুত ও সুদৃঢ় অবস্থায় এখনো আছে। এটি আরও ৬০-৭০ বছর পর্যন্ত নিশ্চিন্তে ব্যবহার উপযোগী। এরপরও মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর অপচেষ্টার অংশ হিসেবে কু-উদ্দেশ্যে চরিতার্থ করতে উক্ত ভবনকে জরাজীর্ণ দেখিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দিয়ে ভেঙে ফেলার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছেন। যার ফলে ন্যায় বিচার পেতে সাধারণ দোকানদারগণ বিভিন্ন আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। এ কারণে তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আদেশ বলবৎ রয়েছে। কিন্তু তিনি যেনতেন প্রকারে মার্কেট গুটিয়ে দিয়ে ডেভেলপারের মাধ্যমে বহুতল বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের অপচেষ্টায় লিপ্ত আছেন।  

তিনি বলেন, কল্লোল সুপার মার্কেট নিয়ে ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা পেলে অর্ধশত পরিবার বাঁচবে। না হয় ন্যায্য বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়ে আমাদের পরিবার, সন্তানদের নিয়ে পথে বসতে হবে। কারণ আমাদের পরিবারের যাবতীয় খরচের একমাত্র উপার্জনের মাধ্যম হলো আমাদের এই ক্ষুদ্র ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ মোহাম্মদ মামুন, এনামুল হক, সরোয়ার আলম, জহিরুল ইসলাম, আবদুল হাফিজ জিসান প্রমুখ।  

এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ মোহাম্মদ মামুন বলেন, মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী কল্লোল সুপার মার্কেটটি দিদারুল কবির থেকে কিনেছেন ২০১৬ সালে। ভবন ভাঙার পরিকল্পনার আগে উনি আমাদের সঙ্গে বসেননি, আলোচনাও করেননি। ৩৩-৩৪ বছর ব্যবসা করে আসছি। ১৯৮৮ সালে সিডিএ ভবনের নকশা অনুমোদন দিয়েছে। এত কম সময়ে যদি ভবনের মেয়াদ চলে যায় তাহলে চট্টগ্রাম শহরের অর্ধেক ভবন ভেঙে ফেলতে হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২৪ 
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।