ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘আন্দোলনে আহত ও নিহতদের পরিবারকে পুনর্বাসন নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২৪
‘আন্দোলনে আহত ও নিহতদের পরিবারকে পুনর্বাসন নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে’

চট্টগ্রাম: অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক বলেছেন, ‘আন্দোলনে আহত ও নিতদের পরিবারকে পুনর্বাসন নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।

রোববার (১৮ আগস্ট) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আন্দোলনে আহতদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে বেষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।

তিনি আরও বলেন, আমি আহতদের চিকিৎসা সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছি। এরা সবাই চিকিৎসা নিয়ে সন্তুষ্ট এবং ধীরে ধীরে তাদের অবস্থা উন্নতি হচ্ছে। আশা করছি তারা সবাই সুস্থ হয়ে উঠবে।

পুনর্বাসন প্রসঙ্গে ফারুক-ই-আজম বলেন, যারা মারা গিয়েছেন তাদের পরিবারকে পুনর্বাসিত করা, পরিবারকে দেখাশোনা করা। এখন পুনর্বাসন ছাড়া তাদের তো আর কিছু চাওয়া নেই।

স্বাধীনতা যুদ্ধে আপনারা দেশ স্বাধীন করেছেন, এখন যারা যুদ্ধ করে নতুন স্বাধীনতা এসেছে তাদের বিষয়ে কি বলবেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা হচ্ছে একই রক্তের ধারাবাহিকতা। কথায় আছে না ‘বীরের রক্ত পরাভব মানে না’ ৫০ বছর পরে ওই একই রক্তধারা এখানে এসে মিশেছে।

এ সময় তাঁর সঙ্গে হাসপাতালে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার তাসলীম উদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ ও মো. রাসেল মাহমুদ ছিলেন।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম উপজেলার আমিরাবাদ দর্জিপাড়া এলাকায় আন্দোলনে ঢাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত কিশোর ইশমামুল হকের বাড়িতে গিয়ে তার কবর জিয়ারত করেন। পরে ইশমামুলের মা শাহেদা বেগম, বড় ভাই মুহিবুল হক, ছোট ভাই আবু বক্কর এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তিনি শহীদদের পরিবারের দায়িত্ব সরকার নেবে বলে জানান।

এরপর দুপুর ১২টার দিকে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানা ভবন ও ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলা পরিষদ ভবন পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা দ্রুত সংস্কার করা হবে বলে জানান।

এ সময় উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, বিগত স্বৈরশাসক পুলিশকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে। এখন অনেক জায়গায় জনগণ পুলিশকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকুক। সবাইকে নিয়ে আমরা একটি বৈষম্যহীন সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।

পরে বিকেল চারটার দিকে চট্টগ্রামের  বোয়ালখালীর পোপাদিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর আকুবদন্ডী ওয়ার্ড সৌদি প্রবাসী মো. নুরুল আবছারের ছেলে আন্দোলনে ঢাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত মো. ওমরের বাড়িতে যান। তার কবর জিয়ারত করেন এবং পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২৪
বিই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।