চট্টগ্রাম: জীবিকার তাগিদ কিংবা পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে প্রতিদিনই বিদেশ পাড়ি জমাচ্ছেন মানুষ। এক্ষেত্রে চট্টগ্রামের তরুণ, যুবকদের পছন্দের শীর্ষে সৌদি আরব।
চট্টগ্রাম আগ্রাবাদস্থ সরকারি কার্যভবন-২ এ অবস্থিত জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি রপ্তানি হয়েছে প্রায় ১১ লাখ ২০ হাজার।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রাম থেকে সৌদি আরব গেছেন ১৯ হাজার ৮১৭ জন, কাতারে ৭ হাজার ৮৫৫ জন, ইউএইতে ৫ হাজার ৬৭২ জন, ওমানে ৩ হাজার ৪৩০ জন, কুয়েতে ১৩৪ জন, জর্দানে ৪৪ জন, লেবাননে ৩৪ জন, হংকংয়ে ৪ জন এবং অন্যান্য দেশে ১ হাজার ২৩১ জন।
২০২৩ সালে চট্টগ্রাম থেকে সৌদি আরবে গেছেন ২১ হাজার ৭১৮ জন, ওমানে ১৯ হাজার ৮৭০ জন, ইউএইতে ১৩ হাজার ৫০০ জন, কাতারে ৭ হাজার ৩১ জন, জর্দানে ৩২ জন, কুয়েতে ৮৬১ জন, লেবাননে ২২ জন এবং হংকংয়ে ৩ জন।
জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মহেন্দ্র চাকমা বাংলানিউজকে জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ বাড়াতে কাজ করছি আমরা। জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান কার্যালয়ে সেবা নিতে আসা নাগরিকদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা এবং শাহ আমানত বিমানবন্দরে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক, নগর ও জেলার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে বিদেশগামীদের আমরা সার্বিক সহায়তা ও পরামর্শ দিয়ে থাকি। প্রবাস থেকে মৃতদেহ এলে বিমানবন্দরে ৩৫ হাজার টাকার চেক দিয়ে থাকি দাফন বা সৎকারের জন্য। মৃতদের পরিবারকে কল্যাণ তহবিল থেকে সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত অনুদান এবং সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি, প্রতিবন্ধী ভাতা ইত্যাদি চালু আছে। এবার আমরা আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবসে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স প্রেরণকারী ব্যক্তি ও আহরণকারীকে সম্মাননা দেব এবং জব ফেয়ারের আয়োজন করবো।
তিনি জানান, জেলা জনশক্তি অফিসে মাইগ্রেশন ও এন্টি- ট্রাফিকিং তথ্য কেন্দ্র চালু হয়েছে। এ কেন্দ্র থেকে বিদেশ যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিগণ সংশ্লিষ্ট ১৩টি তথ্যসহ বিদেশ গমনের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ ও জেনে নিতে পারছেন সংশ্লিষ্টরা। এ কেন্দ্র বিদেশ গিয়ে বিপদে পড়াসহ মানব পাচার রোধে সহায়ক হবে।
সূত্র জানায়, গত ২০ নভেম্বর সচিবালয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ১৮ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস এবং জাতীয় প্রবাসী দিবস একসঙ্গে উদযাপনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
এর আগে প্রতিবছর ১৮ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস এবং ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় প্রবাসী দিবস পৃথকভাবে উদযাপন করা হতো। দিবস দুটি উদযাপনের ব্যবধান ছিল মাত্র ১২ দিন।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৪
এআর/টিসি