দুর্গম এলাকা থেকে হেলিকপ্টারে এনে সোনাপুঁতি চাকমার (২০) প্রাণ বাঁচিয়েছে সেনাবাহিনী।
চট্টগ্রাম: রাঙামাটি জেলার দুর্গম এলাকা থেকে হেলিকপ্টারে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) এনে প্রসূতি মা সোনাপুঁতি চাকমার (২০) প্রাণ বাঁচিয়েছে সেনাবাহিনী।
সোমবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় তাকে সিএমএইচে আনা হয়।
এ হাসপাতালের চিকিৎসক কর্নেল ডা. করিম বলেন, ‘পার্বত্য রাঙামাটি জেলার দুর্গম বগাখালী সীমান্ত গ্রামের বাসিন্দা ওই প্রসূতি মা ও তার সন্তানকে বাঁচাতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি আমরা।
’
তিনি জানান, প্রায় ৪৮ ঘণ্টা ধরে ওই মায়ের রক্তক্ষরণ হয়েছে। এ ছাড়া মায়ের পেটে বাচ্চার অবস্থান ছিল আড়াআড়ি।
স্থানীয়ভাবে তারা চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর সোমবার বেলা ১১টায় দুমদুম্যা বিওপিতে বিজিবির কাছে আসেন চিকিৎসাসেবা নিতে। বিজিবির চিকিৎসক পরিস্থিতি জটিল দেখে বিজিবি ৪১ ব্যাটালিয়নের সহায়তা চান। এর পর বিজিবির পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীর কাছে জরুরি চিকিৎসাসেবা চাওয়া হলে চট্টগ্রাম থেকে হেলিকপ্টার পাঠানো হয় এ মা’কে বাঁচাতে। এক ঘণ্টার মধ্যে রোগী নিয়ে ওই হেলিকপ্টার চট্টগ্রাম পৌঁছে। এরপর অস্ত্রোপচার করা হয়।
রাঙামাটির জুরাছড়ির ৪ নম্বর দুমদুমাইয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শান্তিরাজ চাকমা প্রসূতি মায়ের স্বজনদের সঙ্গে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রামে আসেন।
তিনি জানান, অসুস্থ এ মায়ের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে সেনাবাহিনী, সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত সিএমএইচে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৮
এআর/টিসি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।