ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আমদানি পণ্য চোর চক্রের ১০ সদস্য গ্রেফতার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০১৯
আমদানি পণ্য চোর চক্রের ১০ সদস্য গ্রেফতার গ্রেফতার আমদানি ও রফতানি পণ্য চোর চক্রের ১০ সদস্য। ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: নগর ও জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে কাভার্ডভ্যান থেকে আমদানি ও রফতানি পণ্য চোর চক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।

গ্রেফতার হওয়া সদস্যদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে খাতুনগঞ্জের একটি গোডাউন থেকে চুরি হওয়া ১৫৫ বস্তা রেজিন (দানাদার রাসায়নিক পদার্থ) উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (৫ জানুয়ারি) ও রোববার (৬ জানুয়ারি) একটানা দুইদিন অভিযান তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে বাংলানিউজকে জানান নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পশ্চিম) এএএম হুমায়ুন কবির।

গ্রেফতার হওয়া ১০ জন হলেন- মো. সালাউদ্দিন (২২), মো. আব্দুল মান্নান (৩৪), মো. রাশেদ (৩৬), সেন্টু হাওলাদার (২৭), মো. নজরুল ইসলাম (২৯), মো. আবু সুফিয়ান রুবেল (২৬), মো. ফারুক (৩৫), মো. আলমগীর লিটন (৩৫), পংকজ দাশ (৫১) এবং সজল দেব(৪১)।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘গ্রেফতার হওয়া ১০ জন কাভার্ডভ্যান থেকে আমদানি ও রফতানি পণ্য চোর চক্রের সদস্য।

ভিন্ন ভিন্ন পেশার আড়ালে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে এ চুরির কাজ করে। ’

তিনি বলেন, ‘মেসার্স গুডলাক ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড ট্রেডিং এজেন্সি নামক একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের পর প্রথমে গাড়িচালক সালাহউদ্দিন ও আব্দুল মান্নানকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বিভিন্ন কৌশলে বাকি আট জনকে গ্রেফতার করা হয়। ’

উদ্ধার হওয়া পণ্য।  ছবি: বাংলানিউজপুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘এই চোর সিন্ডিকেটের কাছ থেকে নির্দিষ্ট ক্রেতারাই সাধারণত এসব পণ্য কিনে থাকেন। তাদের কাছে ছাড়া অন্যদের চোরাই পণ্য বিক্রি করেন না তারা। ’

নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মোজাম্মেল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘৫ জানুয়ারি খাতুনগঞ্জের মেসার্স গুডলাক ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড ট্রেডিং এজেন্সির ম্যানেজার বাদি হয়ে পতেঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। নগর গোয়েন্দা পুলিশ টানা দুইদিন অভিযান চালিয়ে এ চক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেফতার ও চুরি হওয়া ১৫৫ বস্তা রেজিন উদ্ধার করে। ’

তিনি জানান, মামলায় অভিযোগ করা হয়-১ জানুয়ারি রাফি ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের আমদানি করা ৩ হাজার ৫৯৪ ব্যাগ সিবিসি রেজিন তাইওয়ান হোয়াইট ৭টি কাভার্ড ভ্যানে করে ভারটেক্স ডিপো থেকে আমদানিকারকের কারখানায় পাঠানো হয়েছিল। পরে ২টি কভার্ড ভ্যানে ৭৫ ব্যাগ ও ৮০ ব্যাগ পণ্য কম পাওয়া যায়।

বাংলাদেশ সময়: ২২২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৯
এসকে/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।