চট্টগ্রাম: করোনা পাল্টে দিয়েছে মানুষের জীবনধারা। চিনিয়েছে আপন-পর।
ত্রাণের জন্য হাহাকার: ২৫ মার্চ দেশব্যাপী অঘোষিত লকডাউন শুরু হলে কর্মহীন হয়ে পড়েন দিনমজুরেরা।
করোনা পরীক্ষায় ভোগান্তি: শুরুতে করোনা শনাক্তে নমুনা পরীক্ষার ল্যাব কম থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন উপসর্গ নিয়ে করোনা পরীক্ষা করাতে আসা নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। ফল পেতে অনেককে এক মাসের বেশি সময়ও অপেক্ষা করতে হয়েছে তাদের।
ঘরের বাইরে আসা মানা: করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে মানুষকে ঘরবন্দি রাখতে সরকারিভাবে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। সচেতনতা সৃষ্টি করতে মাইকিংয়ের পাশাপাশি সিভিল প্রশাসনের সঙ্গে মাঠে ছিলেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
ফটকে লাল পতাকা: প্রবাসী এবং করোনায় আক্রান্ত রোগীদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে তাদের বাড়িতে দেওয়া হয় লাল পতাকা।
বাঁশ দিয়ে লকডাউন: এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় মানুষের যাতায়াত ঠেকাতে পাড়ায় পাড়ায় বাঁশ দিয়ে লকডাউন করেন স্থানীয়রা।
১ টাকায় সবজি বাজার: দরিদ্র মানুষদের ১ টাকায় সবজি দিতে নগরের বিভিন্ন এলাকায় ফ্রি সবজি বাজার চালু করে সেনাবাহনী।
দূরত্ব মেনে নামাজ আদায়: করোনার সংক্রমন ঠেকাতে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মানুষের প্রবেশাধিকার সীমিত করা হয়। রমজানে ৩ ফুট দূরত্বে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায়ের অনুমতি দেওযা হয়।
মরদেহের স্বজন তারা: করোনায় মৃত্যুবরণ করা লোকজনকে দাফন করতে আর্ত্মীয়-স্বজনরা যখন কাছে আসছিলেন না, তখন মরদেহের স্বজন হয়ে এসব কাজ করেন আল মানাহিল ফাউন্ডেশন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২০
এসএস/এমআর/টিসি