চট্টগ্রাম: নমুনা নেওয়ার বুথে জমে আছে ধুলোবালি, পুরো এলাকা আবর্জনায় পরিপূর্ণ। নমুনা সংগ্রহ করতে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টও আসেন দেরিতে।
তবে এসব অভিযোগ মানতে নারাজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিন দেখা যায়, হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার নমুনা সংগ্রহের জন্য নির্ধারিত স্থানে জমে আছে ময়লা আবর্জনা। লতাগুল্ম বেয়ে উঠেছে দেয়ালে। নমুনা সংগ্রহের জন্য বসানো বুথ ব্যবহার করা হয় না অনেকদিন, ধুলো জমে ব্যবহারের অনুপযোগী। খোলা জায়গায় চেয়ারে বসিয়ে সংগ্রহ করা হচ্ছে নমুনা।
শুধু তাই নয়, নির্ধারিত সময়ে নমুনা সংগ্রহ করার কথা থাকলেও নিজের মর্জিমতো আসেন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট। ঘণ্টার পর ঘন্টা বসে থেকেও মিলছে না সেবা।
নমুনা দিতে আসা মো. নাজিম নামে এক রোগী বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকে বসে আছি। দুই ঘণ্টা বসে থাকার পরও কেউ নমুনা নিতে আসেনি। এছাড়া পুরো এলাকা আবর্জনায় ভর্তি। এখানে নমুনা দিতে এসে মানুষ উল্টো অসুস্থ হয়ে পড়বে।
নাছরিন আখতার নামে আরেক রোগী বাংলানিউজকে বলেন, করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার কথা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা পরও নমুনা পাওয়া যাচ্ছে না। এতে আমাদের ভোগান্তি বাড়ছে।
হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. আবু সৈয়দ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, হাসপাতালে দুইজন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট ছিল। একজনকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার কারণে বাকি একজন দিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে৷ সব দিক ম্যানেজ করে তাকে কাজ করতে হয়। তাই রোগীদের কাছে মনে হচ্ছে- সময়মতো আসছে না। হাসপাতালের অন্য টেস্টগুলো তো চালাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বুথ ব্যবহার করেই নমুনা নেওয়া হয়। তবে রোগীর সংখ্যা কম হলে হয়তো চেয়ারে বসিয়ে নমুনা নেওয়া হয়। তাছাড়া পুরো এলাকাটা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার রিপোর্ট দেরিতে পাওয়ার যে অভিযোগ, তার সমাধান আমাদের হাতে নেই। হাসপাতালের নমুনাগুলো পরীক্ষা করা হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে। ল্যাব থেকে যখন ফলাফল আসে তখনই আমরা রোগীদের জানিয়ে দিই।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২১
এমএম/এসি/টিসি