ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সিএস খতিয়ান দেখে খাল পুনরুদ্ধার করা হবে: মেয়র রেজাউল

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২১
সিএস খতিয়ান দেখে খাল পুনরুদ্ধার করা হবে: মেয়র রেজাউল

চট্টগ্রাম: জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগাপ্রকল্পের আওতায় নগরের ৩৫টি খাল খনন ও সম্প্রসারণ করলেও ২১টি খাল বর্তমানে বিলুপ্ত প্রায়।  সিএস খতিয়ানে এগুলোর অস্তিত্ব থাকলেও সেই জায়গায় এখন বহুতল ভবনসহ নানা ধরনের স্থাপনা রয়েছে।

খালগুলো চিহ্নিত করে অবশ্যই পুনরুদ্ধার করা হবে এবং কাউন্সিলররা এই খালগুলো চিহ্নিত করবেন।  

মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) আন্দরকিল্লার কেবি আবদুচ সাত্তার মিলনায়তনে চসিকের ৬ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ১১তম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এসব কথা বলেন।

চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটন, মো. গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।

মেয়র বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে বাস্তবয়নাধীন প্রকল্পের কাজে অধিকতর গতিশীলতা চাই। শুকনো মৌসুমে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিবন্ধকগুলো সরিয়ে ফেলতে হবে। ছোট-বড় নালা নর্দমা ও খালগুলো থেকে আবর্জনা, মাটি ও পলিথিন সরিয়ে ফেলা হবে। মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে খালগুলোর যেখানে বাঁধ বা দেয়াল আছে সেগুলো সিডিএর সঙ্গে সমন্বয় করে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সিডিএর মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে নিরাপত্তা বলয়ের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে প্রাণঘাতী কোনো বিপর্যয় না ঘটে।

তিনি জানান, চসিক মশা নিধন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও আলোকায়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। মশক নিধনে আলাদা ফোর্স করা হবে। এদের আলাদা পোশাক হবে। মশক নিধনে যে ওষুধ ছিটানো হয় তার কার্যকারিতা যাচাই করা হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় নগরকে ৬টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কোনো অবহেলা ও অবজ্ঞা গ্রাহ্য হবে না। দায়িত্ব পালনে কেউ ব্যর্থ হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আলোকায়নের ক্ষেত্রে কোনো অবহেলা বরদাশত করা হবে না। যে সব সড়ক বাতি খারাপ বা অচল হয়েছে সেগুলো জরুরি ভিত্তিতে সারিয়ে তুলতে হবে।

মেয়র রাজস্ব আয়ের পরিধি বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, শুধু গৃহকরের মধ্যেই রাজস্ব আয়ের পরিধি প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। অনেকেই ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করছে তাদের লাইসেন্স’র আওতায় আনতে হবে। গৃহকরের ক্ষেত্রেও ফাঁকিবাজি আছে, অনেক বাড়ি মালিক বাড়ির কর দিতে অনীহা করে এবং কর আদায়কারীর সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করে। এসব বাড়ির মালিকদের সঙ্গে টিও বা রাজস্ব কর্মকর্তা আলোচনা করে কর আদায়ে সচেষ্ট হতে হবে। রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে যে ২৬টি খাত রয়েছে সেই খাতগুলোর আয় নিশ্চিত করতে হবে। এই খাতগুলো থেকে কর আদায়ের ক্ষেত্রে কোন ঢিলেমি চলবে না।

তিনি যানজট নিরসনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে ফুটপাত ও সড়ক দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে উল্লেখ করে বলেন, দখলমুক্ত হবার পর ফুটপাত ও সড়ক আবার বেদখল হলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের জ্বালানি অপচয় রোধ করতে হবে। সন্ধ্যার পর চসিকের কোনো ট্যাক্সি চলবে না। যে সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে পরিবহন কেনার জন্য ঋণ দেওয়া হয়েছে চসিক তার জ্বালানি সরবরাহ দেবে না।

তিনি নগরের সব কাঁচাবাজার পর্যায়ক্রমে পলিথিনমুক্ত করা হবে বলে জানান।

তিনি ঘোষণা দেন মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুর্বণজয়ন্তী উপলক্ষে ১০টি গৃহহীন পরিবারকে চসিক গৃহ নির্মাণ করে দেবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২১
এআর/টিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।