চট্টগ্রাম: দুই বছর ধরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিস করেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আওয়াল। সকালে আকবরশাহ থেকে এসেছেন ডায়ালাইসিস করতে।
বেশ আক্ষেপ করে আব্দুল আওয়াল বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকে এসে বসে আছি।
শুধু আব্দুল আওয়াল নন, চমেক হাসপাতালে প্রতিদিন ডায়ালাসিস করেন শতাধিক রোগী। হঠাৎ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সেনডর বাংলাদেশ সেবা বন্ধ রাখায় বিপাকে পড়েন রোগীরা।
জানা গেছে, চমেক হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিস সেবা দেয় সেনডর বাংলাদেশ। ৩১ শয্যার এ ইউনিটে প্রতিদিন শতাধিক রোগী সেবা নেন। রোগীপ্রতি ডায়ালাইসিসে ২ হাজার ৫৯৫ টাকা খরচ পড়লেও এতে সরকার ভর্তুকি দেয় ২ হাজার ৮৫ টাকা। অর্থাৎ মাত্র ৫১০ টাকায় কিডনি রোগের এ চিকিৎসা করতে পারেন রোগীরা।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক বি. জেনারেল মো. শামীম আহ্সান বাংলানিজকে বলেন, তাদের কিছু টাকা বকেয়া থাকায় সাময়িক সেবা বন্ধ রাখে। ঢাকায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। বকেয়া টাকা পরিশোধ সাপেক্ষে এ সেবা পুনরায় চালু করা হয়েছে। প্রায় ৮ ঘণ্টা বন্ধ ছিল সেবা। আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।
চমেক হাসপাতালে দায়িত্বরত সেনডর কিডনি ডায়ালাইসিস সার্ভিস সেন্টারের তত্ত্বাবধায়ক হিমেল আচার্য্য বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিদিন ডায়ালাইসিস করতে গিয়ে আমাদের বেশ কিছু টাকা বাকি পড়েছে। যার ফলে আমরা রিঅ্যাজেন্ট সংগ্রহ এবং কর্মকর্তাদের বেতন পরিশোধ করতে পারছি না। তাই আজ সকাল থেকে সেবা বন্ধ রাখতে হয়। হাসপাতালের পরিচালক মহোদয় এসেছেন। তিনি টাকা পরিশোধে আশ্বাসে আমরা আবার সেবা চালু করেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২২
এমআর/টিসি
