ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাবুল আক্তারের হাতের লেখা পরীক্ষার অনুমতি 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২২
বাবুল আক্তারের হাতের লেখা পরীক্ষার অনুমতি  ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম: মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের হাতের লেখা পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। এর আগে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) হাতের লেখা পরীক্ষার আবেদন করেছিলেন গত ৭ মার্চ।

মঙ্গলবার (২২  মার্চ) সকালে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবদুল হালিম এই আদেশ দেন। এ সময় আদালতে বাবুল আক্তার উপস্থিত ছিলেন।

 

বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন বাবুল আক্তারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ.কে.এম আজহারুল হক। তিনি বলেন,  মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাবুলের হাতের লেখা পরীক্ষার জন্য আদালতে আবেদন করেছিলেন। আদালত আজ মঙ্গলবার শুনানি শেষে তা মঞ্জুর করেছেন। পাশাপাশি আজকে বাবুল আক্তারের হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহ করা হবে। এগুলো এখন ল্যাবে পরীক্ষা করবেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। ম্যাজিস্ট্রেটের খাস কামরায় সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নেওয়া হয়েছে বাবুল আক্তারকে।

মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনের দায়ের করা মামলায় বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছিল। ২০২১ সালের ১১ মে বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। তদন্তে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পাওয়ার কথা উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের লক্ষ্যে গত বছরের ১২ মে ওই মামলার ৫৭৫ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয় পিবিআই।

গত ৬ মার্চ মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনের দায়ের করা মামলায় ফাইনাল রিপোর্ট গ্রহণ করেছেন আদালত।  

এর আগে গত বছর ১০ মে মামলার বাদী হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো কার্যালয়ে ডেকে আনা হয় বাবুল আক্তারকে। ১১ মে সারাদিন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। ২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে জিইসি মোড়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। এ ঘটনায় ঢাকায় অবস্থান করা মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে নিজের জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে তিনি অভিযোগ করেন। ঘটনার কয়েকদিন পরেই মামলার তদন্তে নতুন মোড় নেয়। একপর্যায়ে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তার শ্বশুর।

পাঁচলাইশ থানা পুলিশের পর চট্টগ্রামের ডিবি পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে। তারা প্রায় তিন বছর তদন্ত করেও অভিযোগপত্র দিতে ব্যর্থ হয়। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালতের নির্দেশে মামলা তদন্তের ভার পায় পিবিআই। মিতু হত্যার পর বাবুল আক্তার প্রথমে ঢাকার মেরাদিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে উঠেছিলেন। ২০১৬ সালের ২৪ জুন বাবুল আক্তারকে ঢাকার ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে এনে প্রায় ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৬ ঘণ্টা, মার্চ ২২ , ২০২২
এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।