ঢাকা, শুক্রবার, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২৭ জিলহজ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাঁশখালীতে গৃহহীন ৩৬৬ পরিবার পাবে প্রধানমন্ত্রীর উপহার 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২২
বাঁশখালীতে গৃহহীন ৩৬৬ পরিবার পাবে প্রধানমন্ত্রীর উপহার  ...

চট্টগ্রাম: মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে দুই দফায় জমিসহ ঘর পেয়েছেন বাঁশখালীর ৬৫ অসহায় পরিবার। অসহায় ও গৃহহীন পরিবারকে মোট ঘর দেওয়া হবে ৩৬৬টি।

এছাড়াও ১৩৫টি ঘর নির্মাণাধীন, জায়গা নির্ধারণ করে ঘর নির্মাণের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ১৬৬টি।

উপজেলার পুকুরিয়ার নাটমুড়া এলাকার প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাওয়া আশ্রয়ণের খোঁজ নিতে যান চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।

এসময় তিনি তাদের জীবনযাত্রার বিষয়ে জানতে চান।  

উপহার দেওয়া প্রতিটি ঘরে রয়েছে ২টি কক্ষ, ১টি রান্নাঘর ও ১টি টয়লেট এবং সামনের দিকে টানা বারান্দা।

মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে সারাদেশের ন্যায় বাঁশখালীতেও দুই দফায় জলদী ও পুকুরিয়া এলাকায় ৬৫টি অসহায় পরিবারকে জমিসহ ঘর প্রদান করা হয়। তৃতীয় দফায় চাম্বল ও খানখানাবাদ ইউনিয়নে আরও ১৩৫টি ঘর নির্মাণাধীন রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পাওয়ার তালিকায় থাকা পুকুরিয়ার নাটমুড়া এলাকার ছালেহা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে মাথা গোজার ঠাঁই হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যার জন্য ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের পক্ষ থেকে প্রাণভরে দোয়া করি, মহান আল্লাহতায়ালা যেন তাঁকে সুস্থ রাখেন এবং ভালো রাখেন।  

তিনি আরও বলেন, পরিবার নিয়ে সুখে বসবাস করছি। সেলাইয়ের কাজ করে, ছাগল পালন করে এখন ভালই চলতে পারি। রাতে ঘরে শান্তিতে ঘুমাতে পারি, কোনো অসুবিধা হয় না। কারও অত্যাচার সহ্য করতে হয় না।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে দেওয়া ঘর যারা পেয়েছেন তাদের জীবন বদলে গেছে। মাথা গুঁজবার ঠাঁই পেয়েছে তারা।  

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইদুজ্জামান চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী যারা ভূমিহীন ও গৃহহীন রয়েছে তাদেরকে ঘর তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। বাঁশখালী উপজেলায় ৩৬৫টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গুণগতমান বজায় রেখে দিকনির্দেশনা অনুযায়ী ঘরগুলোর নির্মাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এরমধ্যে ৬৫টি ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। ১৩৫টি ঘরের কাজ চলমান রয়েছে। ১৬৬টি ঘরের জায়গা নির্ধারণ করে কাজ শুরুর প্রক্রিয়া চলছে।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) উমর ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের এই ঘরগুলো করতে পেরে আমরা নিজেরাও আনন্দিত ও তৃপ্ত। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী তা বাস্তবায়নে কাজ করছি। গৃহহীনরা আগামী দিনে ভালো থাকলেই আমাদের এ কাজে নামা সার্থক হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, ৩১ মার্চ, ২০২২
বিই/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।