ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মিমিতে সারারা গারারায় মজেছেন তরুণীরা

সৈয়দ বাইজিদ ইমন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২২
মিমিতে সারারা গারারায় মজেছেন তরুণীরা ...

চট্টগ্রাম: ঈদে প্রতিবছরই দেশি পোশাকের চেয়ে ভারতীয় আর পাকিস্তানি পোশাকের দিকে নজর থাকে তরুণ-তরুণীদের। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।

নগরের অভিজাত শপিং মল মিমি সুপার মার্কেটে তরুণীরা মজেছেন সারারা আর গারারা নামের ভারতীয় পোশাকে।  

এছাড়া পাকিস্তানি কুর্তি, লেহেঙ্গা, ক্রপটপ গাউন আর বার্বি গাউনের দিকেও ঝুঁকছেন অনেকে।

বিক্রেতারা বলছেন, ভারতীয় পোশাকের দাম একটু বেশি। দাম বেশি হলেও ভালো মানের পোশাকই ক্রেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে গেল দুই বছরের লোকসান পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে আশাবাদী তারা।

নগরের আবাসিক এলাকাকেন্দ্রিক গড়ে ওঠা এ শপিং কমপ্লেক্সে মেয়েদের পোশাকের বাহারি সব সমাহার। এখানে শাড়ি,  থ্রিপিস, জুতা, বাচ্চাদের পোশাক, প্রসাধনীর বিক্রি সবচেয়ে বেশি বলে জানান ব্যবসায়ীরা।  

জানা গেছে, প্রায় ৩৮ বছরের পুরোনো এ শপিং কমপ্লেক্স। এখানে ক্রেতাদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের একটা ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটি, পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকা, মিমি সোসাইটি, হিলভিউ হাউজিং সোসাইটি, খুলশি হাউজিং সোসাইটি, মেহদিবাগ আবাসিক এলাকার বাসিন্দারাই কেনাকাটা করতে আসেন বেশি। পুরো মার্কেট সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। পাকিং ব্যবস্থাও সম্পূর্ণ ফ্রি।

মিমি সুপার শপিং কমপ্লেক্সের সভাপতি জয়নুল আবেদীন বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের ব্যবসা হাউজিং সোসাইটি কেন্দ্রিক। আমাদের সঙ্গে ক্রেতাদের একটা ভালো সম্পর্ক রয়েছে। এমনও ক্রেতা আছেন যাদের সঙ্গে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এখানে সৎ এবং সুন্দর ব্যবহার বাধ্যতামূলক। কারও ব্যবহার খারাপ হলে সে সঙ্গে সঙ্গে আউট।

মিমি সুপার শপিং কমপ্লেক্সের নিচ তলায় বন্ধন, মহসিন’স, সেভওয়ে সুপার স্টোর, জে এম স্টোরস, মানসি, কানন শাড়িস, রোজা, মানছি শাড়ি, রওশন’স, কাঁকন, নিউ শাওন ভাদো, মিস আর্ট, ট্রেন্ডি গার্লসের মতো সব নামি-দামি দোকান। দ্বিতীয় তলায় স্বর্ণের দোকান বসুন্ধরা জুয়েলার্স, মোহনা জুয়েলার্স, তরঙ্গ জুয়েলার্স, রূপ মহল, বনরূপা, নিউ চৈতী জুয়েলার্স। রয়েছে ঘড়ি, বোরকা আর টেইলার্সের দোকানও। তৃতীয় তলায় মেয়েদের জুতা ও গার্মেন্টস সামগ্রী। চতুর্থ তলায় টেইলার্স, থান কাপড় ও থ্রিপিসের দোকান।  

নিউ আকর্ষণের সত্ত্বাধিকারী মো. পারভেজ বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবছরই আমাদের নতুন আইটেম থাকে। আমাদের মূল টার্গেট তরুণীদের পোশাকে। তাই ভারতীয় আর পাকিস্তানি সব নতুন কালেকশন আমাদের রয়েছে। এবার তরুণীরা সবচেয়ে বেশি কিনছেন সারারা, গারারা আর পাকিস্তানি কুর্তি। এখানে ৫ হাজার থেকে ১৪ হাজার টাকা পর্যন্ত দামের কাপড় রয়েছে। বিক্রিও ভালো।

ক্রেতারা বলছেন, ঈদে জমকালো পোশাকই তাদের পছন্দ। যারা একের অধিক পোশাক কিনছেন তারা আরামদায়ক ফেব্রিকের পাশাপাশি বেছে নিচ্ছেন ভারতীয় নজরকাড়া বিভিন্ন পোশাক।  

নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটি থেকে আসা কলেজ পড়ুয়া আইরিন সুলতানা বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের বাসা পাশেই। প্রতিবছর আমরা এখান থেকেই কেনাকাটা করি। এখানে থ্রিপিসগুলো সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয়।  

মিমি সুপার শপিং কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আকবর বাংলানিউজকে বলেন, করোনার কারণে তেমন ব্যবসা না হলেও এখন ভালো। আমাদের এখানে মেয়েদের পোশাকের বিক্রি সবচেয়ে বেশি। ক্রেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। এখানে আমরা নিরাপত্তা আর সুন্দর ব্যবহারকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেই। এখনও পর্যন্ত কোন ক্রেতার সঙ্গে আমাদের দোকানিদের খারাপ সম্পর্ক তৈরি হয়নি। আশাকরি এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২২
বিই/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।