চট্টগ্রাম: আবদুল গাফফার চৌধুরীর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বাঙালির এক আলোকবর্তিকা নিভে গেল। তিনি ছিলেন বাঙালির আলোর পথের দিশারি, বর্ণাঢ্য জীবনের প্রতিচ্ছবি।
শুক্রবার (২০ মে) বিকেলে নগরের সিআরবি চত্বরে নাগরিক সমাজ-চট্টগ্রাম আয়োজিত শোকসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
সংগঠনের কো-চেয়ারম্যান মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে শোকসভায় বক্তারা বলেন, আবদুল গাফফার চৌধুরী সর্বদাই ছিলেন প্রগতিশীল শক্তির অগ্রগামীদের একজন। বায়ান্নের ভাষা আন্দোলনের সময় যেমন লিখেছেন কালজয়ী গান, তেমনি মুক্তিযুদ্ধের সময় সম্পাদনা করেছেন মুক্তিযুদ্ধের মুখপত্র জয়বাংলা পত্রিকা। তাঁর ক্ষুরধার লেখনীর আকর্ষণ পাঠকদের মোহমুগ্ধ করে রাখত। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর একজন প্রিয়পাত্র ছিলেন।
জীবনের শেষদিন পর্যন্ত বাংলাদেশের পত্রপত্রিকায় দিকনির্দেশনামূলক কলাম লিখে গেছেন। লেখার ব্যাপারে তিনি নিরপেক্ষ থাকতেন। দলকানা মনোভাব তাঁর সাংবাদিকতায় পরিলক্ষিত হয়নি কখনও। তাঁর মৃত্যুতে বাঙালি জাতি এক সূর্য সন্তানকে হারালো।
শোক সভায় বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, জাসদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন বাবুল, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী, খেলাঘরের সংগঠক বনবিহারী চক্রবর্তী, মোরশেদুল আলম, শিল্পী নারায়ণ দাশ, মোরশেদ আলম, সাবের হোসেন, আবদুল মজিদ বিপ্লব, জায়দীদ মাহমুদ ও সুনীল দাশ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আবৃত্তি শিল্পী দিলরুবা খানম।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২২
এআর/টিসি