চট্টগ্রাম: ‘আমাদের কিছুই লাগবে না, আমাদের ভাইয়ের মরদেহটি লাগবে। হাসপাতালে যত মরদেহ আছে, সেখানে আমার ভাইয়ের মরদেহ শনাক্ত করা যাচ্ছে না।
রোববার (৫ জুন) বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি কেয়ারে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বাংলানিউজকে এসব কথা বলছিলেন সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের নিহত ফায়ার ফাইটার সালাউদ্দিনের ভাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা কামাল উদ্দীন।
সালাউদ্দিন (৩৮) সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে ফায়ার ফাইটার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ফেনী জেলার সদর থানার মাসুমপুর এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু ইউসুফের ছেলে। সালাউদ্দিন এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক ছিলেন।
কামাল উদ্দীন বলেন, আমাদের চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে ভাইদের মধ্যে সালাউদ্দিন ছোট। সালাউদ্দিন সহজ-সরল ছিলেন, তাই তাকে বলেছিলাম, ফায়ার সার্ভিসে চাকরি করিস না। বিদেশ চলে যেতে বলেছিলাম, বিদেশ না গিয়ে ফায়ার সার্ভিসে চাকরি নিয়েছে। মেয়েকে মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়েছিল, কিন্তু দেখে যেতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, ভাইয়ের মরদেহের অপেক্ষায় আছি। পরিবারের সব সদস্য মরদেহ দেখার জন্য অপেক্ষায় আছেন।
সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে শনিবার (৪ জুন) রাতে। এ ঘটনায় ৪৩ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক। তাদের বেশিরভাগই চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিস্ফোরণের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ৭ সদস্য নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে চার জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০২২
এমআই/কেএআর/টিসি