চট্টগ্রাম: মোংলা ও নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের দুইপি প্রতিষ্ঠানের নামে আসা মদ ও সিগারেটের চালানে ২০ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শুল্কফাঁকির অপচেষ্টা হয়েছে বলে জানিয়েছে কাস্টমস।
সোমবার (২৫ জুলাই) রাতে বন্দরের এনসিটির সিএফএস শেডে ইনভেন্ট্রি (কায়িক পরীক্ষা) শেষে এ তথ্য জানানো হয়।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার দায়িত্বে থাকা ডেপুটি কমিশনার মো. সাইফুল হক বাংলানিউজকে জানান, কাস্টমস হাউসের এআইআর এবং পিসিইউ শাখার ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার আওতায় রফতানিকারক, পণ্য তৈরির দেশ, আমদানিকারকের ব্যবসায়ের ধরন, ঠিকানা, পণ্যের বর্ণনা ইত্যাদি বিশ্লেষণ করে এ দুইটি চালানে অসত্য ঘোষণায় পণ্য আমদানির বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যায়। এরপর গত ২৩ জুলাই মোংলা ইপিজেডের ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেডের চালান ও ১৪ জুলাই নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের ডং জিন ইন্ডাস্ট্রিয়াল বিডি কোম্পানি লিমিটেডের চালান এআইআর শাখা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে লক করে, যাতে বন্দর থেকে খালাস নিতে না পারে।
দুইটি চালানে ২ হাজার ৮৫৮টি কার্টনে ৩১ হাজার ৪৯২ দশমিক ৫ লিটার বিদেশি মদ পাওয়া যায়। যার শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এর সঙ্গে জড়িত রাজস্ব প্রায় ২০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।
ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজের নামে গত ২ জুলাই বন্দরে আসা চালানের ঘোষণা ছিল টেক্সটারড ইয়ার্ন বা সূতা।
ডং জিন ইন্ডাস্ট্রিয়াল বিডি কোম্পানি লিমিটেডের নামে গত ১২ জুলাই বন্দরে আসা এ চালানের ঘোষণায় ছিল র মেটারিয়ালস পলিপ্রপিলিন রেসিন। দুইটি চালানই চীনের নিংবাও বন্দর থেকে জাহাজে লোড হয়।
ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজের নামে আসা কনটেইনারে ৫৩টি বস্তায় ৫৩ হাজার প্যাকেটে ১০ লাখ ৬০ হাজার শলাকা আমদানি নিষিদ্ধ বিদেশি সিগারেটও পাওয়া যায়।
এ দুইটি চালান খালাসের লক্ষ্যে কাস্টম হাউসে বিল অব এন্ট্রি দাখিল না হওয়ায় সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান কারা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
কাস্টম হাউসের কমিশনার এসব ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২২
এআর/টিসি