কলকাতা: গোটা পশ্চিমবঙ্গ মেতেছে খ্রিস্টীয় বর্ষবরণের উল্লাসে। কলকাতার পার্কস্ট্রিট, রবীন্দ্রসদন, ভবনীপুর সর্বত্রই আলোয় সেজেছে শহর।
এরই মধ্যে অভিনব কায়দায় পথে নামল পশ্চিমবঙ্গের বামদল, সিপিআইএম। দলটির সদর দফতর আলিমুদ্দিনের তরফে বর্ষশেষের এই অভিনব কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। তাই শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) বাম নেতাদের দেখা মিলল কলকাতার ভিক্টোরিয়া, চিড়িয়াখানায়। নতুন প্রজন্ম থেকে সদ্য প্রেমেপড়া যুগল, মধ্য বয়স্ক থেলে প্রবীন সবার কাছেই পৌঁছে গেলেন বামনেতা সুজন চক্রবর্তী, কলতান দাশগুপ্তরা-সহ কর্মী-সমর্থকরা। লাল কাপড় ধরে চলল, দলের জন্য তহবিল সংগ্রহ। চলল পুরানো পন্থায় জনসংযোগ। তারা কথা বলেন, ওই চত্বরের ঝালমুড়িওয়ালা, আইসক্রিমওয়ালা সহ অস্থায়ী বিক্রেতাদের সঙ্গে। শুনলেন তাদের হাল হকিকত। একইভাবে জনসংযোগ সারলেন ঘুরতে আসা নবীন থেকে প্রবীণদের সঙ্গে।
এ প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তী বলেন, সিপিআইএম-এর তরফে জনসংযোগ কর্মসূচি চলছে। বছর শেষে এসব অঞ্চলে মানুষের সমাগম হয়। তাই দেখা করলাম। জানলাম ওদের কথা। আমরাও আমাদের কথা জানিয়েছি। মানুষ সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যারা চোখ রাঙাচ্ছে তারা গুরুত্বপূর্ণ নয়। মানুষের কথা, আমরা মানুষের কাছে তুলে ধরছি। ভোটবাক্সে কি প্রতিফলিত হবে বা হয়েছে, তা নিয়ে চিন্তা করছি না। আমি মনে করি নিজের মতো করে মানুষ ভোট দিতে পারলে তৃণমূল, বিজেপি সব উড়ে যাবে।
একদা বামদুর্গ ছিল এই পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু, ২০১১ সালের পর থেকে ক্রমশ রাজনৈতিক শক্তি হারিয়েছে। তবে এখনও তাদের সাংগঠনিক শক্তি প্রবল। সেই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে রাজনৈতিক শক্তি ফিরে পেতে চাইছে বামেরা, এমনই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২২
ভিএস/এসএ