ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

দোকানে ঢুকে দুধ চা বানালেন মমতা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩
দোকানে ঢুকে দুধ চা বানালেন মমতা

কলকাতা: রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট। জেলা সফরে ব্যস্ত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

গতকাল মালদহ সফর সেরে বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বীরভূমে যান মুখ্যমন্ত্রী।

সেখানে গিয়ে ওই জেলার এক আদিবাসীর চায়ের দোকানে ঢুকে পড়েন তিনি। নিজেই চা তৈরি করে দেন উপস্থিত অন্যান্যদের হাতে। একেতো এতজনের চা, তার ওপরে দোকানে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। সব মিলিয়ে কিছুটা ঘাবড়ে যান চা বিক্রেতা তরুণী।  

মুখ্যমন্ত্রী তা বুঝতে পেরে নিজেই তরুণীর কাছ থেকে চা, চিনি ও দুধ চেয়ে নেন। এরপরে উনুনে বসিয়ে দেন চা। খোঁজ নেন দোকানমালিকের ঘরদোরের। শেষে বিলও মেটান। ঘুরে দেখেন সোনাঝুরি গ্রাম।

এদিন বোলপুরের ডাকবাংলো মাঠে সভা করে শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি এলাকায় বিশ্বভারতীর প্রবীণ আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘শিশু তীর্থ’-এ যান মমতা।  

সেখানে শিক্ষার্থীদের হাতে উপহার হিসাবে বই-খাতা তুলে দেন তিনি। শিক্ষার্থীরাও মুখ্যমন্ত্রীর হাতেও তুলে দেয় স্কুলে চাষ করা সবজি।

সেখান থেকে বেরোনোর পর সোনাঝুরি এলাকায় একটি চায়ের দোকানে ঢুকে পড়েন মমতা। নিজস্ব ঢঙে নিজে চা তৈরি করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই চা-বিস্কুট তুলে দেন তার সঙ্গে থাকা কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও গ্রামবাসীদের হাতে।

চা পরিবেশনের সময় মুখ্যমন্ত্রীকে সাহায্য করেন তরুণী। তিনি তরুণীকে জিজ্ঞেস করেন, তোমরা রেশন পাও? বাচ্চারা পড়াশোনা করতে যায়? তোমাদের ঘর কোথায়? 

একে একে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের উত্তর দেন তরুণী। শেষে পা ছুঁয়ে প্রণামও করেন মমতাকে। শুধু চা বিক্রেতা তরুণীর সঙ্গেই নন, উপস্থিত গ্রামের নারীদের সঙ্গেও একে একে কথা বলে তাদের বাড়িঘর, ছেলেমেয়ের খোঁজ নেন মমতা। এমনকি গ্রামের এক ফেরিওয়ালার সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

শেষে দাম দেন চায়ের। জিজ্ঞাসা করেন, কত হলো? তরুণী ভেবে পান না কী উত্তর দেবেন। যতই হোক মুখ্যমন্ত্রী ও তার লোকজন। না হয় আজ কজন গ্রামবাসী চা খেয়েছে। তাই বলে টাকা নেওয়া যায়? এরপর মুখ্যমন্ত্রী, একটু জোর দিয়ে বলেন, বলো কত হয়েছে? তরুণী বলেন ৫০ কাপ। মুখ্যমন্ত্রী তার প্রতিনিধিকে বলেন, তাকে ১০০ কাপ চায়ের দাম দিয়ে দাও। বিস্কুটের দাম দিয়েছো? আমি কোনো গরিবকে ঠকাতে চাই না।
 
এরপরই তরুণীকে উদ্দেশ্য করে মমতা বলেন, তোমার ঘর দেখাও। দেখি কোথায় থাকো। তারপর নিজেই পর্দা সরিয়ে দেখে নেন কাঁচা বাড়ির ঘরদোর, খাবারের হাঁড়ি।  

মুখ্যমন্ত্রীকে এত কাছে পেয়ে রীতিমতো আপ্লুত ছিল এলাকার মানুষ। মূলত, মুখ্যমন্ত্রী বারবার জেলায় গিয়ে ধরা দেন অন্য মেজাজে ৷ বরাবরই তিনি ভালোবাসেন জেলায় গিয়ে রাস্তায় নেমে জনসংযোগ করতে৷ এদিন বীরভূমে সফরে গিয়ে তার অন্যথা হল না ৷ সেই চেনা ছন্দে ধরা দিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে তিনি ফের বল্লভপুর জঙ্গলে রাঙাবিতান অতিথিশালায় ফিরে যান৷

বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩
ভিএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।