কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) শুনানিতে সিবিআই জানিয়েছে, এই মামলায় এক প্রভাবশালীর কাছ থেকে দুটি পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। একটি ভারতের অপরটি লন্ডনের।
বিষয়টি শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি প্রশ্ন করেন, সেই ব্যক্তি কি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য? উত্তরে হ্যাঁ বলে জানায় সিবিআইয়ের আইনজীবী।
এরপরই বিচারপতি মন্তব্য করেন, ‘অত্যন্ত লজ্জার বিষয়। এখনও মানিক ভট্টাচার্য বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেনি। তিনি ভাবছেন আবার ফিরে আসবেন। ’
বিচারপতি বলেন, মানিক ভট্টাচার্যর সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য আমারও জানা আছে। তার লন্ডনেও বাড়ি আছে।
সিবিআইয়ের আইনজীবীকে বিচারপতি বলেন, আপনি জানেন উনি কতবার লন্ডন গেছেন? তার বাড়ির পাশে কোন হেভিওয়েট রাজনৈতিক নেতার বাড়ি? এসবের উত্তর আমার জানা।
একইসঙ্গে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, দিদি আর একা সামলাতে পারছেন না। চারপাশে এত দুর্বৃত্ত থাকলে তিনি কীভাবে সামলাবেন? সম্ভব নয়। তা সবাই জানে। এ প্রসঙ্গেই ভূপেন হাজারিকার গানের লাইন ‘হাজার টাকার বাগান খাইলো পাঁচ শিকার ছাগলে’ স্মরণ করে তিনি।
নদীয়ার পলাশি পাড়ার তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। শিক্ষক দুর্নীতির কারণে গত বছর ইডির হাতে ধরা পড়েন তিনি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন মানিক, বর্তমানে অপসারিত।
এদিকে নিজের বক্তব্যে দিদি বলে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কাকে বোঝাতে চেয়েছেন, তা স্পষ্ট করেননি। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘দিদি’ বলে সম্বোধন করে থাকেন বঙ্গবাসী।
এ প্রসঙ্গে যোগ্য চাকরি প্রত্যাশিদের আইনজীবী তথা সিপিআইএম নেতা বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, বিচারপতির কাছে নিশ্চয়ই তেমন তথ্য রয়েছে, তাই তিনি বলেছেন। এতে আশ্চর্যের কিছু নেই। আমি শুধু বিচারপতির সঙ্গে দ্বিমত যে, দুর্বৃত্ত পাশে নয় মমতা নিজেই দুর্বৃত্ত। মমতার পাশেই দুর্বৃত্ত রয়েছে এ ধারণাটা ভুল। তিনিই সব দুর্বৃত্তের নায়িকা। গোটা রাজ্যে দুর্বৃত্তায়ণের পরিকল্পনা তারই।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৫ ঘণ্টা, ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
ভিএস/এমএইচএস