ঢাকা, সোমবার, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

নানা আয়োজনে কলকাতায় উদযাপন হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২৩
নানা আয়োজনে কলকাতায় উদযাপন হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী

কলকাতা: স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস, যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করছে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন।  

শুক্রবার (১৭ মার্চ) দিনটিতে ডেপুটি হাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়।

জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস।  

দিনটি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত কলকাতার বেকার হোস্টেলের ২৪ নম্বর কক্ষে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন ও বিশেষ মোনাজতের আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মিশনের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা, বিমান বাংলাদেশের রিজিয়নাল ম্যানেজার আবদুল জব্বর, সোনালী ব্যাঙ্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত রওশন জাহান ও কলকাতা প্রেসক্লাবের অপ্যায়নে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ৮ জন সাংবাদিকসহ কলকাতার বঙ্গবন্ধুপ্রেমী মানুষেরা।  

শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের পর উপস্থিত সবাই বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফেরাত করেন। এই মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশবাসী এবং প্রধানমন্ত্রীর সাফল্য কামনা করা হয়।

ডেপুটি হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস জানান, দিনটি বাংলাদেশের জন্য এক অসম্ভব আনন্দের দিন। ১০৩ বছর আগে ইতিহাসের মহানায়ক, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার জন্মের কারণে পুরো পৃথিবীর ইতিহাস পাল্টে গেছে। পৃথিবী আজ যে নতুন দিকে এগিয়েছে তার নেপথ্যের মূল নায়ক হলেন বঙ্গবন্ধু। আমরা গর্ববোধ করছি যে কলকাতায় বসে তার জন্মদিন উদযাপন করতে পারছি।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের সূচনা কিন্তু এই কলকাতা থেকে। তিনি তৎকালীন ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং তখন তিনি যে নেতৃত্বের পরিচয় দিয়েছিলেন, যে বিকাশ হয়েছিল সেটির ধারাবাহিকতায়, তিনি একের পর এক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বেকার হোস্টেল যেখানে বঙ্গবন্ধু ছাত্রাবস্থায় কাটিয়েছেন এখানে এসে তাকে শ্রদ্ধা নিবেদন করলাম। এটা বাংলাদেশের জন্য আবেগের জায়গা।
 
একই সঙ্গে ডেপুটি হাইকমিশনারের অভিমত, বঙ্গবন্ধু শিশুদের অত্যন্ত ভালোবাসতেন এবং তিনি বিশ্বাস করতেন নতুন প্রজন্মই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। যেই মূলমন্ত্রের দীক্ষিত হয়ে তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা, যিনি বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যিনি শিশুদেরকে ভবিষ্যত গড়ে তুলছেন। তাদের কথা মনে রেখে শিশুদিবসে আমরাও কলকাতার শিশুদের নিয়ে কিছু অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি, যেখানে শিশুরাই প্রাধান্য পাবে।

শিলচরবাসী বেকার হোস্টেলের শিক্ষার্থী সাজেদুল হক, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি বিজড়িত ২৪নং কক্ষের পাশের রুমে থাকেন। সেই শিক্ষার্থীর অভিমত, বঙ্গবন্ধু সম্বন্ধে আসামে থাকাকালীন কিছু পড়েছি। কিন্তু তখনও আমি অত বিস্তারিত জানতাম না। যখন আমি এই হোস্টেলে এডমিশন পেলাম এবং আমি যখন জানতে পারলাম আমার পাশের কক্ষেই বাংলাদেশের দেশনায়ক থাকতেন, আমি শিউরে উঠেছিলাম। এই স্থান আমাকে অন্যভাবে অনুপ্রাণিত করে। আর এখানে আসার পরেই আমি উনার ব্যাপারে আরও পড়াশোনা করে আমার শিক্ষাজীবনে অনুপ্রেরণা পাচ্ছি।

দিনটিতে শিশু দিবস উপলক্ষে মিশন প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ গ্যালারিতে কলকাতার শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা হবে। এছাড়া বিকেলে মিশন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু মঞ্চে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশু-কিশোরদের পুরস্কার বিতরণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২৩
ভিএস/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।