কলকাতা: সাংসদ সদস্য পদ খারিজ হয়েছে রাহুল গান্ধীর। এবার সরকারি বাংলো ছাড়তে নোটিশ পেয়েছেন ওই কংগ্রেস নেতা।
সোমবার (২৭ মার্চ) লোকসভার হাউজিং কমিটির তরফে ওই নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, ভবন ছাড়ার জন্য আগামী ২৫ দিন সময় পাবেন রাহুল গান্ধী। ফলে নোটিশ অনুযায়ী, আগামী ২২ এপ্রিলের মধ্যেই সরকারি ভবন ছাড়তে হবে রাহুলকে।
২০০৪ সাল থেকে লোকসভার সদস্য ছিলেন রাহুল গান্ধী। সাংসদ থাকাকালীন নয়াদিল্লির ১২ তুঘলক রোডে সরকারি ভবন বরাদ্দ ছিল রাহুলে জন্যে। এরপর থেকে তিনি সেখানে থাকতেন। এবার সেই সরকারি ভবন ছাড়তে বলা হলো সোনিয়ার পুত্রকে।
ওই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের সাংসদ প্রমোদ তিওয়ারির বলেছেন, রাহুল গান্ধীকে ভয় পাচ্ছে বিজেপি। শুধু তাই নয়, প্রমোদের দাবি, ভবন ছাড়ার নোটিশে রাহুল গান্ধীর প্রতি বিজেপির ঘৃণা প্রকাশ পাচ্ছে। ওই বিষয়ে আইনি রাস্তায় যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ প্রমোদ তিওয়ারি।
এর আগে ২৪ মার্চ নরেন্দ মোদী পদবী মানহানির মামলায় ভারতের একটি নিন্ম আদালত রাহুলকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। তবে আদালত তাকে জামিন দিয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করার জন্য ৩০ দিনের সময় দিয়েছেন। তবে রাহুল গান্ধী আট বছরের জন্য ভারতের কোনো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না, যদি না উচ্চ আদালত তার সাজা স্থগিত করেন।
কংগ্রেস জানায়, তারা রাজনৈতিক ও আইনিভাবে রাহুল গান্ধীর দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং অযোগ্যতার বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
যদিও তারপর থেকে রাহুল মুখ খুলেছেন। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, সারা জীবনের জন্য আমার সদস্যপদ বাতিল করে দিক কিংবা জেলে ভরে দিক, আমাকে ভয় পাওয়ানো যাবে না। আমি শুধু সত্য নিয়ে চিন্তিত। সত্য প্রকাশ করাই আমার কাজ। আমি যদি সাংসদ নাও থাকি বা আমাকে যদি গ্রেফতার করা হয়, তাও আমি এই একই কাজ করে যাব। মোদি পদবী মন্তব্যের জন্য তিনি ক্ষমা চাইবেন না। তার বক্তব্য, আমার নাম সাভারকর নয়, আমার নাম গান্ধী। আমি ক্ষমা চাইব না। গান্ধীরা ক্ষমা চায় না।
আর এরই মধ্যে সাবেক ওই সাংসদ সদস্যকে সরকারি ভবন থেকে কার্যত উচ্ছেদের নোটিশই দেওয়া হলো।
যদিও একটি সূত্রের দাবি, রাহুল গান্ধীর কাছে এখনও কোনো ভবন ছাড়ার নোটিশ যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২৩
ভিএস/এএটি