ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

তৃষ্ণা অভয়ারণ্যকে আকর্ষণীয় করতে বন দপ্তরের উদ্যোগ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২৩
তৃষ্ণা অভয়ারণ্যকে আকর্ষণীয় করতে বন দপ্তরের উদ্যোগ 

আগরতলা (ত্রিপুরা): উত্তরপূর্ব ভারতের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ত্রিপুরার তৃষ্ণা অভয়ারণ্য। দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

 

রাজ্যের দক্ষিণ জেলার রাজনগর এলাকায় অবস্থিত জীববৈচিত্রে ভরপুর এই তৃষ্ণা অভয়ারণ্য। প্রায় ১৯৫ বর্গকিমি এলাকার জুড়ে এর অবস্থান। এখানে প্রায় ২৩০ প্রজাতির গাছ, ৪০০ প্রজাতির ভেষজ গাছ, ১১০ প্রজাতির গুলম এবং ১৫০ প্রজাতির লতা রয়েছে।  

এর মধ্যে রয়েছে- ঔষধি গাছের ভান্ডার। বাইসন(ইন্ডিয়ান গৌড়) হল তৃষ্ণা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের প্রধান প্রজাতির প্রাণী, যার জন্য এটি পরিচিত। বিপন্ন বাইসনের প্রাকৃতিক আবাস ফিরিয়ে দিতে এ অভয়ারণ্য স্থাপন করা হয়।

এছাড়াও এ অভয়ারণ্যে রয়েছে- উল্লুক, টুপি পরা বানর, লজ্জাবতী বানর, শুয়রপুচ্ছ বানর, বুনো শুয়র, বন্য বিড়াল, চিতা বিড়াল, অসংখ্য প্রজাপতির পাখি, হরিণ ইতাদি।  

পাখির মধ্যে রয়েছে- ময়না, ঘুঘু, টিয়া, সবুজ পায়রা, ধনেশসহ আরও অনেক জাতের পাখি। এখানে একটি প্রজাপতি পার্কও রয়েছে। অভয়ারণ্যের মধ্যে একটি বিশাল আকারের প্রাকৃতিক জলায় থাকার জন্য বন্য জীবজন্তুদের বসবাসের নির্ভরযোগ্য জায়গা এটি। চিরহরিৎ, আদ্রপর্ণমুচি গাছের সমাহার অভয়ারণ্যের জঙ্গলে বৈচিত্র এনেছে।  

পর্যটকদের কাজে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকারের বন দপ্তর জানিয়েছেন ত্রিপুরা সরকারের মুখ্যমন্ত্রী তথা বন দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা। বনদপ্তরের তরফে এক লিখিত বার্তায় এ কথা জানানো হয়েছে।  

তিনি জানান, তৃষ্ণা অভয়ারণ্যকে দর্শনার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় করার জন্য এক গুচ্ছ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তৃষ্ণা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, ভারত বাংলাদেশ মৈত্রেয়ী উদ্যান, বড়দৌস ইকো-পার্ক এবং জয়চান্দপুর ইকো-ট্যুরিজম জোনকে একটি উল্লেখযোগ্য সম্ভাব্য গন্তব্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।  

এই স্থানগুলিকে দর্শনার্থীদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া রাজনগরের রেষ্ট হাউসটি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে আসা দর্শনার্থীদের চাহিদা মেটাতে আরো সজ্জিত করা হবে।

ভারত-বাংলা মৈত্রী উদ্যানে টেন্ট হাউস, পর্যটকদের খাবারের জায়গা। লেজার শো অভ্যর্থনা ও সুভেনির শপ, গাড়ি রাখার জায়গা, ওয়াচ টাওয়ার, পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য বিদ্যুত চালিত গাড়ি ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হবে।  

বরদৌস ইকোপার্কে গাড়ি রাখার জায়গা, মটর চালিত নৌকা, অভিযান-পর্যটন, পর্যটকরা যাতে চড়ুইভাতি করতে পারে তার জন্য সুন্দর পরিকাঠামো করে দেওয়া হবে।

জয়চাঁদপুর ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্রে টেন্ট হাউস, গাড়ির চালকদের থাকার জায়গা, পর্যটকদের জন্য রান্নাঘর এবং খাওয়ার জায়গা, অভ্যর্থনা ও স্যুভেনির শপ ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হবে।

এখন মাঝে মাধ্যেই বাইসন গুলি অভয়ারণ্যের গন্ডি পেরিয়ে আশেপাশে এলাকায় ফসল নষ্ট করে থাকে এগুলোকে কিভাবে অভ্যয়ারণ্যের মধ্যে রাখা যায় এদিকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২৩
এসসিএন/ এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।