আগরতলা (ত্রিপুরা): করোনা মহামারিসহ বিভিন্ন কারণে আগরতলা-আখাউড়া রেলপথ নির্মাণের কাজ নির্ধারিত সময় থেকে কিছুটা পিছিয়েছে। তবে এই বছরের জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এই রেলপথ চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সাংবাদিকদের এ কথা জানান ভারত সরকারের উত্তর পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি।
এদিন তিনি এই রেলপথের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত প্রকৌশলীসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি এক পর্যালোচনা বৈঠক করেন।
মন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি এদিন আগরতলা আখাউড়া রেলপথের ভারতের দিক থেকে সর্বশেষ রেলওয়ে স্টেশন নিশ্চিন্তপুর রেলস্টেশন থেকে শুরু করে সীমান্ত পর্যন্ত রাস্তা পরিদর্শন করে দেখেন।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ভারত সরকারের সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, ত্রিপুরা সরকারের পরিবহন দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, স্থানীয় বিধায়ক মিনা রানী সরকারসহ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে যুক্ত বিভিন্ন সংস্থার প্রকৌশলীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
দীর্ঘ সময় ধরে তিনি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে যাবতীয় নির্মাণকাজ ঘুরে দেখেন। এমনকি নির্মাণকাজের সঙ্গে যুক্ত মাঠ পর্যায়ের কর্মী এবং শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করেন।
পরিদর্শন শেষে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানান, ভারত সরকারের এক্টইস্ট পলিসি ও নেইবার ফার্স্ট- এই দুই নীতিমালার বিষয়কে অগ্রাধিকারে রেখে এই রেলপথ স্থাপন করা হচ্ছে।
ভারত বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করার ক্ষেত্রে এই রেলপথ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলেও আশা ব্যক্ত করেন তিনি। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর নিজেও এই প্রকল্পটি দ্রুত শেষ করার বিষয়ে আগ্রহী।
সীমান্ত থেকে ভারতীয় অংশের দিকে রেলপথের নির্মাণকাজ ইতোমধ্যে প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের দিকে নির্মাণকাজও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।
ভারতীয় অংশের রেলপথের অর্থ বরাদ্দ করেছে উত্তর পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশের দিকের কাজ হচ্ছে ভারত সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।
এই রেলপথের মাধ্যমে উত্তর পূর্বাঞ্চলের উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী খুব সহজে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া যাবে। একইভাবে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য আরও সম্প্রসারিত হবে বলেও আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৩
এসসিএন/আরএইচ