আগরতলা (ত্রিপুরা): আগরতলায় শুরু হলো চাকমা জনজাতিদের চিরাচরিত বিজু উৎসব। বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ৪৯তম রাজ্যভিত্তিক বিজু উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা।
এ ছাড়া অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের সমাজ কল্যাণ এবং সমাজ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়, শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের মন্ত্রী সান্তনা চাকমা, আগরতলা পৌর মেয়র দীপক মজুমদার, রাজ্যের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও লেখক শ্রুত রঞ্জন খিসা, পশ্চিম জেলার জেলা শাসক দেবপ্রিয় বর্ধনসহ আরও অনেকে।
প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও প্রথা ফানুস ওড়ানোর মধ্য দিয়ে বিজু উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অতিথিরা। এরপর চাকমা নারী-পুরুষ শিল্পীরা তাদের চিরাচরিত নৃত্য এবং সংগীত পরিবেশন করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উৎসবে উপস্থিত চাকমা জনগোষ্ঠীর লোকেদের চাকমা ভাষায় সম্বোধন করেন। পাশাপাশি বলেন, এই সময় ত্রিপুরা রাজ্য জুড়ে চলছে নানা সাংস্কৃতিক উৎসব। এর মধ্যে রয়েছে বাঙালি অংশের মানুষের বাংলা নববর্ষ, চাকমা জনজাতিদের বিজু উৎসব। অন্যান্য জনজাতি অংশের মানুষের গড়িয়া উৎসব, বুইসু উৎসব। এসব উৎসবের নাম ভিন্ন ভিন্ন হলেও মোটামুটি একই ধরনের। মূলত জনজাতি গোষ্ঠীগুলো নিজ নিজ চিরাচরিত আচারের মধ্য দিয়ে এসব উৎসব পালন করে থাকে। মূলত বর্ষবরণকে উপলক্ষ করে এসব উৎসবের আয়োজন করা হয়ে থাকে। এসব উৎসব প্রমাণ করে ভারতের বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য রয়েছে।
আগরতলা আস্তাবল ময়দানে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী এই উৎসবে প্রতিদিন চাকমা জনজাতিদের পাশাপাশি রাজ্যের অন্যান্য জনজাতি এবং জাতি সংস্কৃতির চিরাচরিত নাচ গান তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি চাকমাদের জীবনশৈলীর নানা জিনিস তুলে ধরা হবে প্রদর্শনীর মাধ্যমে। বিশেষ করে তাদের ঘর, মাছ ধরার এবং নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী। চাকমা হরফ তাদের সংস্কৃতির এবং সাহিত্য বিষয়ক বহু পুরাতন বই প্রদর্শনীতে রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের উন্নয়নমূলক কাজের স্টল রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২৩
এসসিএন/আরএইচ