আগরতলা (ত্রিপুরা): নববর্ষের পাশাপাশি রোজা ও আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে রাজ্যে গত কিছুদিন ধরে কেনাকাটার ধুম পড়েছে।
এই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।
পাইকারি বাজারের সঙ্গে খুচরা বাজারের দামের এই বিশাল ফারাক ক্রেতা সাধারণকে ভোগান্তিতে ফেলেছে। সাধারণ ক্রেতারা এই পরিস্থিতিতে সরকারের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ ব্যক্ত করছেন।
মানুষের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অবশেষে দাম নিয়ন্ত্রণে তৎপরতা শুরু করেছে রাজ্য সরকার। খাদ্য ও জনসংবরণ দপ্তর, ওজন ও পরিমাপ দপ্তর, বিক্রয় কর দপ্তর এবং খাদ্য নিরাপত্তা দপ্তর যৌথ ভাবে রাজ্যের বাজারগুলোতে সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) আগরতলার লেক চৌমুহনী বাজারে সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়। এতে এই চার দপ্তরের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি পাইকারি ব্যবসায়ী, খুচরা ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা দাম নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করেন।
এদিনের এই সচেতনতা শিবিরে উপস্থিত মহকুমা প্রশাসনের কর্মকর্তা রঞ্জিত কুমার দাস সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে তারা রাজধানী আগরতলার মহারাজগঞ্জ বাজার বটতলা বাজার ইত্যাদি জায়গায় সচেতনতা শিবির করে নিয়েছেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে আগামী দিনেও এ ধরনের শিবিরের আয়োজন করা হবে।
তবে সাধারণ ক্রেতাদের একাংশের অভিযোগ, এসব হচ্ছে দপ্তরগুলোর লোক দেখানো নাটক। এসব করে বাস্তবে ক্রেতাদের পূর্ণ উপকার হচ্ছে না। এর জন্য বাজারগুলোতে নিয়মিত নজরদারি চালানোর পাশাপাশি অসাধু ব্যবসায়ীদের বড়সড় আর্থিক জরিমানা করা হলে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব হবে বলে অভিমত অনেকের।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২৩
এসসিএন/আরএইচ