ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

চলচ্চিত্র উৎসবের আঙিনায় নন্দন মাতালেন অপু-সাইমন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২৩
চলচ্চিত্র উৎসবের আঙিনায় নন্দন মাতালেন অপু-সাইমন

কলকাতা: আমেরিকায় শাকিবের সঙ্গে কতটা সময় কেটেছে অপু বিশ্বাস? এই প্রশ্ন যখন দুই বাংলার সীনেপ্রেমীদের মনে কৌতূহল জাগিয়েছে তখন কলকাতায় বসে তার উত্তর দিলেন অভিনেত্রী। পঞ্চম বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে কলকাতায় প্রদর্শিত হয়েছে লাল শাড়ি।

ছবি চলাকালীন কলকাতার দর্শকদের সঙ্গে নিজের লাল শাড়ি ফের একবার উপভোগ করলেন অভিনেত্রী।

অপুর সঙ্গে নন্দন প্রেক্ষাগৃহে বসে ছবি দেখলেন অভিনেতা সাইমন সাদিক ও পরিচালক বন্ধন বিশ্বাস। এরপরই তার আমেরিকায় সফরসহ দুর্গা পূজায় সিঁদুর খেলবেন কিনা? সবই জানালেন অপু বিশ্বাস।

অভিনেত্রী জানিয়েছেন, আমি বুঝতে পারছি এ নিয়ে সবার উৎসাহ তৈরি হয়েছে। এটুকু বলতে চাই আমেরিকায় আমার একটা কাজ ছিল। তার ওপর জয়ের ছুটি ছিল। দুটো মিলিয়ে আমাদের প্ল্যানিংটা হয়েছিল। ওখানে শাকিবের প্রিয়তমা ছবি মুক্তি পেয়েছে। একটা সিনেমা যেখানে মুক্তি পায় সেখানে শিল্পীরা থাকেন। যে কারণে আমি নন্দনে এসেছি। এইসব কাজের মধ্য দিয়েই ওখানে দেখা হয়েছে।

কতটা দেখাশোনা কিংবা জানা হয়েছে এটাই জানতে চায় দর্শকরা- এমন প্রশ্নে অভিনেত্রীর উত্তর, ব্যক্তিগত বিষয়গুলো থাক না। তবে সিনেমা শেষে অভিনেত্রী জানান, আমি আলোচনা পছন্দ করি। কারণ, আলোচনা হওয়া মানে আমাকে নিয়ে মানুষ ভাবে। তবে আমি স্বাধীনতা পছন্দ করি। ব্যক্তি অপু স্বাধীন থাকতে চায়।

ছেলেকে এবার নিয়ে এলেন না কেন? উত্তরে অপু বলেন, সবাই দেখছি আমার ছেলের খোঁজও নিচ্ছেন (হাসতে হাসতে)। ছেলেরও দেখছি অনেক ফ্যান ফলোয়ার হয়েছে। আসলে ও অনেকটা সফর করেছে। আবার কলকাতা আসার ধকল সামলাতে পারবে না। শরীর খারাপ হয়ে যাবে।

কলকাতার ফুচকা খাওয়া প্রসঙ্গে অপু বলেন, এবারে এখনও ফুচকা খাওয়ার সময় হয়নি। তবে এসেছি যখন পাতার ভাঁজে (শালপাতায় মোড়া ফুচকার বাটি) একবার খাব।

তবে এবার অভিনেত্রীর মন একটু খারাপ। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খুব অল্প সময়ের জন্য এসেছি। তাই এবার কলকাতায় শপিং করা হবে না। তবে সামনেই দুর্গাপূজা আসছে। মাঝে একবার আসব, তখন কলকাতা থেকে কেনাকাটা করব।

দুর্গাপূজায় এবারও কি কলকাতায় সিঁদুর খেলবেন? প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের উত্তরে লাল শাড়ি সিনেমার এই অভিনেত্রী বলেন, একটু সাসপেন্স রাখলাম। সামনেই পূজা। তখন জানতে পারবেন।

সাক্ষাৎকারের মাঝেই ভক্তদের ছবি তোলার আবদার মেটালেন। অনেকেই সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন অভিনেত্রীর পোস্টকার্ড সাইজের ছবি। তাতেও ভক্তদের সঙ্গে সই এবং সেলফি আবদার মেটালেন অপু বিশ্বাস। আসাম থেকে এসেছেন সুনেহরা। তিনি বলেন, আমি চলে যেতাম। অপুদি কলকাতায় আসবে শুনে থেকে গেলাম। দেখা হলো, আমার আবদারও মিটেছে। এটাই প্রাপ্তি।

তবে সেদিক থেকে অভিনেতা সাইমন সাদিক কলকাতার কাছে একেবারে নতুন। তবে তাকে নিয়েও উন্মাদনা কম ছিল না। ছবি শেষে দর্শকদের অনেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কলকাতায় একাধিকবার এলেও, নন্দনে শহরবাসীর সঙ্গে সিনেমা দেখার অনুভূতি একেবারে অন্যরকম। ভালোমন্দ সব সিনেমাই শহরবাসী দেখে। সিনেমা নিয়ে প্রকাশ্যে প্রশ্ন করে। এ উপলব্ধি আমার কাছে একেবারে অন্যরকম। কয়েক ঘণ্টার জন্য আমি যেন দর্শকদের ভিড়ে মিশে গিয়েছিলাম।

কলকাতার প্রিয় পরিচালক কে? এমন প্রশ্নে সাইমন বলেন, সৃজিত মুখার্জী। সৃজিত দার সব ছবি দেখে আলাদা তৃপ্তি পাই। বিশেষ করে সময় পেলে একাধিকবার দেখেছি ২২শে শ্রাবণ সিনেমাটি।  

সৃজিত মুখার্জী প্রিয় কেন? আপনাদের জামাই বলে? প্রতিবেদকের এই প্রশ্নে অট্টহাসি দিয়ে সাইমন বলেন, তা হতে যাবে কোন। আসলেই তার পরিচালনা আমার ভালো লাগে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২৩
ভিএস/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।