আগরতলা (ত্রিপুরা): হলুদ রঙের তরমুজ চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন ত্রিপুরার সিপাহীজলা জেলার কাঞ্চনমালা লক্ষ্মীছড়া গ্রামের তরমুজ চাষি নারায়ণ সরকার।
সাধারণত তরমুজের বাইরের অংশ সবুজ বা কালচে সবুজ ও ভেতরের অংশ লাল হয়ে থাকে।
চাষিরা জানান, সুস্বাদু আর উচ্চ পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এ হলুদ তরমুজ চাষে অনেক বেশি লাভ। কালচে সবুজ রঙের তরমুজ থেকে হলুদ রঙের তরমুজ চাষে মুনাফা বেশি হয়। এছাড়া আবহাওয়া অনুকূল থাকলে এ জাতের তরমুজের ভেতরের অংশ হয় টকটকে লাল আর খুব মিষ্টি। ফলে বাজারে ক্রমেই বাড়ছে এ জাতের তরমুজের চাহিদা।
নারায়ণ সরকার বাংলানিউজকে বলেন, গত ছয় থেকে সাত বছর ধরে তিনি তরমুজ চাষ করছেন। গত বছর ইউটিউবে বিসালা জাতের বাইরের অংশ হলুদ রঙের তরমুজ দেখতে পান। এরপর তিনি এ জাতের তরমুজ চাষে নিরুৎসাহ হন। আগরতলায় বিভিন্ন দোকানে হলুদ রঙের তরমুজের বীজ না পেয়ে অনলাইনে অর্ডার করে সংগ্রহ করেন। গত বছর থেকে তিনি এ জাতের তরমুজের চাষ শুরু করেন। তবে প্রথম বছর তেমন বেশি ফলন হয়নি। চলতি বছর এক বিঘার কিছু বেশি জমিতে এ তরমুজ চাষ করেন ও বাম্পার ফলন পান। অন্য তরমুজের তুলনায় এর স্বাদ অনেক বলে দাবি করেন তিনি। ইতোমধ্যে বিক্রিও শুরু করেছেন। প্রথমে ৭০ রুপি প্রতি কেজি বিক্রি করছেন, এখন ৬৫ রুপি প্রতি কেজি বিক্রি করছেন।
তিনি বলেন, সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই পাইকাররা জমি থেকেই তরমুজ কিনছেন। এ জাতের তরমুজের পাশাপাশি সবুজ ও ভেতরের অংশ হলুদ জাতের তরমুজও চাষ করেছেন তিনি।
তার কাছ থেকে বীজ নিয়ে এলাকার কয়েকজন চাষিও তরমুজ চাষ করছেন জানিয়ে নারায়ণ বলেন, দুর্গাপূজা, লক্ষ্মীপূজা, কালীপূজার সময় বিভিন্ন ফলের চাহিদা থাকে। তাই তরমুজের ব্যাপক চাহিদা থাকবে বলেও আশা করছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২৩
এসসিএন/আরআইএস