ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

বিশ্বকাপ ক্রিকেট ফাইনাল, থমকে গেছে নির্বাচনী প্রচারণা

রক্তিম দাশ. সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০১১
বিশ্বকাপ ক্রিকেট ফাইনাল, থমকে গেছে নির্বাচনী প্রচারণা

কলকাতা: আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তারপর বিশ্বকাপ ক্রিকেট ফাইনাল শুরু হচ্ছে ভারতের মাটিতে।



ভারত-শ্রীলঙ্কার মেগা ম্যাচকে ঘিরে চরম উত্তেজনা গোটা ভারতে। ক্রিকেট জ্বরে কাবু ১২১ কোটি মানুষ। কাবু কলকাতা মহানগরীও।

শনিবার সকাল থেকেই তাই কলকাতার পথঘাট প্রায় জনশূণ্য। এমনিতেই সরকারি দফতরে ছুটি। অর্ধদিবস ছুটি ব্যাঙ্ক ও রাষ্ট্রয়াত্ত সংস্তাগুলিতে। ছুটি ঘোষণা করছে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঝুলছে তালা।

কফি হাউস থেকে চায়ের দোকান, নির্বাচনী প্রচার, বাস, ট্রাম, মেট্রো সবকিছুই যেনো ক্রিকেটময়। চলছে নানা বির্তক। মন্দিরে, মসজিদে হচ্ছে প্রার্থনা। টিম ইন্ডিয়ার ছবি রেখে চলছে পূজো।

বিধানসভা নির্বাচনের জন্য সাজানো দলীয় পতাকা ও ডিজিটাল ব্যানার ঢেকে দিয়ে মহানগরী আজ সেজেছে তেরঙা পতাকা আর ধোনি বাহিনীর ছবিতে। বহুতল ভবন থেকে বস্তি ঘরে ছাদে উড়ছে ভারতের পতাকা।

হোলির আবির, রঙ খূঁজে বের করছে বাঙালি ঘরের কোন থেকে। পাড়ার মোড়ে জায়ান্ট স্ক্রিন শেষ মুহূর্তে দেখে নেওয়া হচ্ছে টিভি চ্যানেল ঠিকঠাক আসছে কি-না।

পিছিয়ে নেই শহরের নামজাদা রেস্তোরাগুলো। জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখার পাশাপাশি নামী শেফদের তৈরি স্পেশাল ডিস চেখে দেখার সব আয়োজন সম্পূর্ন।

এদিকে রাজ্যে ভোট। কিন্তু ক্রিকেটের জন্য নির্বাচনী প্রচারসূূচিতে রদবদল। শনিবার তাই প্রচার নয়, প্রাধান্য ফাইনাল ম্যাচ। সমর্থকদের সমর্থন আদায় করতে অনেক প্রার্থীই স্থানীয় ক্লাবে বসে বিশ্বকাপ দেখতে চাইছেন।

এদিন কোনও জনসভা, দরজায় দরজায় প্রচার, পদযাত্রা ইত্যাদির কোনো প্রশ্নই নেই রাজনৈতিক দলগুলোর।

তৃৃণমুল কংগ্রেস নেতা ও কেন্দ্রীয় পর্যটন প্রতিমন্ত্রী  সুলতান আহমেদ বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, জনগণের ভাবাবেগের জন্য তাদের দলীয় কর্মীরাও স্থানীয় ক্লাবে খেলা দেখবেন। তারা আশা করছেন এভাবে  তারা অনেক মানুষকে বুঝতে পারবেন, নিজেদের দিকে টানতেও পারবেন।

অন্যদিকে বামেরা পাড়ায় পাড়ায় যে নির্বাচনী দফতর খুলেছেন তাতে লাগানো হয়েছে টিভি। রাজ্যের নির্বাচনের খবর জানার জন্য। আজ কিন্তু এই টিভিতে কোনো খবর নয়, কর্মীদের চোখ পড়ে থাকবে বিশ্বকাপে এমনটাই জানালেন সিএিম নেতা রবীন দেব।

রাজের‌্য দুই রাজনৈতিক শিবিরের সেনাপতিরা কী করবেন?

মমতা ব্যানার্জি সারাদিন বাড়িতেই থাকবেন। না আজ কোনো প্রচার নয়। নির্বাচনী তহবিলের অর্থ সংগ্রহের জন্য সকাল থেকেই ছবি আঁকবেন। এর ফাঁকেই চোখ থাকবে টিভির পর্দায়।

মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব সকালে আসবেন রাইটার্সে। দুপুরে বাড়িতে গিয়ে খাবার খাওয়ার ফাঁকে খেলা দেখবেন। রাইর্টাসে কাজের মধ্যে আবার খেলা। বিকালে আলিমুদ্দিনে সিপিএম দফতরে গিয়েও খেলা দেখবেন তিনি। না আজ তারও কোনো কর্মসূচি নেই।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৫০ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।