ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

বিধানসভা ভোটে প্রার্থীর খাবার খরচ বেঁধে দিয়েছে ইসি

রক্তিম দাশ. সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০১১

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার নির্বাচনের প্রতিটি প্রার্থী নাস্তা, চা, আর খাবারে জন্য কত খরচ করতে পারবেন তা বেঁধে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, ‘প্রতিটি জেলার জন্য প্রচারের এসব খরচ আলাদা আলাদা দাম ধার্য করে দেওয়া হয়েছে।

যা ধার্য করা হয়েছে এর বাইরে গেলে প্রার্থী যতোই খরচ করুন না কেন, তা বাতিল করে দেওয়া হবে। প্রার্থীর নির্বাচনের খরচের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হবে। ’

গড় হিসাব করে ইসি যা দাম রেখেছে তা হল, চা প্রতি কাপ ৩রুপি, নাস্তা ২০ রুপি, দুপুরের খাবার ২৫ রুপি থেকে ২০০ রুপি, চেয়ার ভাড়া প্রতিদিন ৭ রুপি, অটোরিকশার প্রচারের জন দিনপ্রতি ভাড়া ৩৫০ রুপি।

বিভিন্ন জেলায় দামের ভিন্নতা রাখা হয়েছে।

জলপাইগুড়ি জেলায় চা এর দাম ধরা হয়েছে প্রতি কাপ ৩ রুপি, নাস্তা ২০ রুপি প্রতি প্যাকেট। তা প্যাকেটে যাই থাকুক না কেন।

হুগলি জেলায় চা সাড়ে ৩ রুপি, নাস্তা ২০ রুপি, ম্পেশাল নাস্তা ৫০ রুপি, ভিআইপিদের জন্য দুপুরের বা রাতের খাবারের দাম ধরা হবে ১৬০-২০০ রুপি।

আবার পূর্ব মেদিনীপুরে চায়ের দাম ধরা হয়েছে কাপ প্রতি ৪ রুপি। দক্ষিণ কলকাতার ক্ষেত্রে অবশ্য চায়ের দাম একটু কম ধরা হয়েছে কাপ প্রতি ২ রুপি। এই এলাকার বিধানসভাগুলির ক্ষেত্রে দশ ধরণের খাবারের প্যাকেটের দাম স্থির করে দেওয়া হয়েছে।

লুচি, আলুরদম, লাডু, কলা, ডিম দিয়ে প্যাকেট হলে দাম ৩০ রুপি। আবার ডাল, ভাত, মাছের ঝোল, তরকারি দাম ধরা হয়েছে ৪৫ রুপি। ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেনের প্যাকেট ধরা হয়েছে ৫৫ রুপি।

তাতে চিলি চিকেনের বদলে চিকেন কোর্মা বা সন্দেশ থাকলে দাম বেড়ে হবে ৬০ রুপি। বিরিয়ানির প্যাকেট ৬০ রুপি। রুটি, মাংস, ফিসফ্রাই ও সন্দেশ হলে ৫০ রুপি থেকে ১০৫ রুপি পর্যন্ত দাম ধরা হবে।

আবার কলকাতায় প্রার্থী অটোরিকশায় মাইক লাগিয়ে কর্মী-সমর্থকদের প্রচারে গেলে অটোর ভাড়া হবে প্রতি ঘণ্টা ৬০ রুপি বা দিন প্রতি ৩৫০ রুপি। প্রার্থী এর চেয়ে কম ভাড়ায় পেলে ইসি’র পর্যবেক্ষকরা তা মানবেন না।

শুধু চা বা মাইক নয়, প্রার্থীর দলীয় মার্কাসহ পতাকা, ফেস্টুন, হ্যান্ডবিল, সভার জন্য মঞ্চ, গেট এমন কী চেয়ার কত টাকায় ভাড়া করবেন তাও নির্ধারণ করেছে ইসি। এরও আবার জেলাওয়ারি ভাড়া ঠিক করা হয়েছে।

জলপাইগুড়িতে প্লাসটিকের চেয়ারের ভাড়া প্রতিটি ভাড়া যেখানে ৫ রুপি, সেখানে দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ৬ রুপি।

প্রতি বর্গফুটে দেওয়াল লেখার খরচও ঠিক করেছে ইসি।

এবারের রাজ্যের ভোটে প্রার্থীরা প্রচারের জন্য ১৬ লাখ রুপির বেশ টাকা খরচ করতে পারবেন না।

ইসি’র এই নির্দেশে রীতিমতো মাথায় হাত রাজনৈতিক দলগুলোর। ভোটের প্রচারে টাকার খেলা বন্ধ করতে এই উদ্যোগ তাদের। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এই ব্যবস্থায় ভাল ফল পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।