ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

রং-পোস্টার কেনার ধুম কলকাতায়

আনোয়ারুল করিম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৫ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১১
রং-পোস্টার কেনার ধুম কলকাতায়

কলকাতা থেকে: পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের ফল ঘোষণা হবে শুক্রবার। বিভিন্ন টেলিভিশন ও পত্রিকার নানা সমীক্ষা প্রতিবেদনে বর্তমান সরকার ও বিরোধী জোট উভয়কেই জয়ী বলে ঘোষণা করা হচ্ছে।

এ ধরনের পরিস্থিতিতে সমর্থক ও দলীয় কর্মীরা জয়ের আনন্দের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গের রীতি অনুযায়ী উৎসব-আনন্দে রংয়ের খেলা বহুল প্রচলিত। দলীয় রং দিয়ে জয়কে রাঙা করতে তাই সবাই ছুটছে রংয়ের (আবীর) দোকানে।

ক্ষমতাসীন বামফ্রন্টের রং লাল, তৃণমূল কংগ্রেসের সবুজ। এই দু’টো রং বিক্রি হচ্ছে দেদারসে। এছাড়া বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, মমতা ব্যানার্জি বা সোনিয়া গান্ধীর পোস্টার এবং দলগুলোর মার্কা বসানো পতাকাও কিনছেন সমর্থকরা।

গোটা কলকাতার বিভিন্ন এলাকাতেই এ চিত্র চোখে পড়ছে। আর ধর্মতলায় পোস্টার বিক্রির দোকানগুলোতেও ক’দিন থেকেই ভিড় উপচে পড়ছে। উত্তর কলকাতার বড় বাজারের পাইকারি রংয়ের দোকানগুলোতেও খুচরো বিক্রেতাদের আনাগোনা চলছেই। বৃহস্পতিবার সকালেও অনেকে হাজির হয়েছেন এসব কিনতে।

বড়বাজারের ওল্ড চিনা মার্কেটে রং কিনতে দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে এসেছেন শংকর সরকার। তিনি তিন বস্তা সবুজ ও তিন বস্তা লাল রং কিনলেন। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে জানালেন, এর আগে গত সপ্তাহে দুই বস্তা করে কিনেছিলেন। তার এলাকার রং ব্যবসায়ীদের কাছে এখন আর পাইকারি রং পাচ্ছেন না। এজন্যই ৫শ’ কিলোমিটার দূর থেকে বড় বাজারে এসেছেন রং কিনতে।

দক্ষিণ বড়বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হেমন্ত পাল বাংলানিউজকে বলেন, ‘রং জোগান দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের। এবছর দোলের সময়ও এতো রং বিক্রি হয়নি। ’

তিনি বলেন, ‘শুধু কলকাতার খুচরো বিক্রেতারাই নন, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকে আসছেন রং কিনতে। ’

বড়বাজারের রং বিক্রেতা সুকুমার পাল বলেন, ‘অনেক বছর হলো এখানে ব্যবসা করছি। তবে এবারের মতো এতো চাহিদা কখনও দেখিনি। ’

তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন আগে ভারত যখন বিশ্বকাপ জেতে, তখনও ভালো বিক্রি হয়েছিল; তবে এখনকার মতো নয়। ’

বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৩০ কেজির এক বস্তা রং বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৪৫০ ভারতীয় টাকার মধ্যে (৫০০ থেকে ৮৫০ বাংলাদেশি টাকা)। আর খোলা বাজারে এই রং বিক্রি করা হয় প্রতিকেজি ১৮ থেকে ২৫ রুপি।

এদিকে ধর্মতলার মোড়ের পোস্টার বিক্রেতা আফজাল হুসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘ব্রিগেড মাঠে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জনসভার আগে-পরে পোস্টার বিক্রি হতো। কিন্তু এবার গত কয়েকদিনে পোস্টার বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে। ’

তিনি বলেন, ‘সাধারণত ১০ টাকা থেকে ২০ টাকার মধ্যে একটি পোস্টার বিক্রি হচ্ছে। ’

চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ছাপাখানায় পোস্টার ছাপানোও বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।