ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

শিলিগুড়িতে বামফ্রন্টের ‘ক্যামব্যাক’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১৫
শিলিগুড়িতে বামফ্রন্টের ‘ক্যামব্যাক’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কলকাতা: বুধবার (৭ অক্টোবর) পশ্চিমবঙ্গের বাম নেতা-কর্মীদের কাছে দুর্গা পূজার আগেই এ যেন এক ‘অকাল বোধন’। ২০১১ সাল থেকে ক্রমাগত ভোট কমতে থাকা এবং ভোটে হারের মুখোমুখি হওয়ার ক্রমাগত পরাজয়ের রুটিন থেকে বেড়িয়ে এলো শিলিগুড়ির ভোট ।



বলতে গেলে প্রায় পাঁচ বছর পর পশ্চিমবঙ্গের কোন ভোটে দেখা গেল বামফ্রন্টের জয়জয়কার। শিলিগুড়ি শহরের পুরনির্বাচনে লড়াই করে কিছুদিন আগেই জয় ছিনিয়ে এনেছিল বামফ্রন্ট । সেই জয়ের ধারাকে এগিয়ে নিয়ে গেল শিলিগুড়ি পঞ্চায়েত নির্বাচন। এবার শহরের সাথেসাথে জয় এল গ্রামেও। বামফ্রন্ট জিতেছে ১০টি আসনে, তৃণমূল কংগ্রেস ৪ টি আসনে এবং ত্রিশঙ্কু হয়েছে ৮ টি আসন।

যদিও গোটা রাজ্যের নিরিখে খুব ছোট মাপের ভোট কিন্তু রাজনৈতিক ভাবে এই ভোটের ফলাফল অনেকটা অক্সিজেন দেবে পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্টকে। তবে মুর্শিদাবাদ জেলায় খারাপ ফলের ধারাবাহিকতা থেকে বের হতে পারেনি বামফ্রন্ট।

কিন্তু শিলিগুড়ি নির্বাচনে বামেদের জয়কে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখতে চাইছেন পশ্চিমবঙ্গের বাম নেতারা। উৎসাহী কর্মীরা অনেকে এই জয়কে বলছেন বলছেন ‘ক্যামব্যাক’-এর শুরু।

রাজনৈতিক দিক থেকে দেখলেও একসময়ের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিকের জেলাগুলির মধ্যে শিলিগুড়িতে বামেদের এই জয় অবশ্যই আগামী নির্বাচনগুলোতে অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে।

২০১৬ সালের মে মাসে মেয়াদ শেষ হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার। অর্থাৎ বিধানসভা ভোটের আগে এই ফলাফলের ধারা যদি বজায় থাকে তবে বামদের ২০১৬-এর নির্বাচনে অপেক্ষাকৃত ভালো ফল করার সম্ভাবনা থাকছে।

অন্যদিকে শিলিগুড়ির নির্বাচনে এবং গ্রাম এবং শিলিগুড়ি শহরের পরাজয় পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের কাছে চিন্তার বিষয়। যদিও মুর্শিদাবাদে তারা কংগ্রেসের দুর্গে ফাটল ধরাতে সক্ষম হয়েছে। তবুও শিলিগুড়ির পরাজয় তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ যে বাড়াবে সেকথা বলাই বাহুল্য।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৫
ভিএস/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।