এ কথাই জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গোপাল বাগলে। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্র তার সঙ্গে তিস্তার পানি বণ্টনে ঢাকার সঙ্গে চুক্তি নিয়ে কোনো আলোচনা করেনি।
গোপালের এই মন্তব্যকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষত ৭ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চারদিনের ভারত সফরের আগে তিস্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনার ইঙ্গিত সফরকে আরও গুরুত্ববহ করে তুলছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, তিস্তা চুক্তির ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থ তিনি আগে দেখবেন। ঢাকা চাইছে, তিস্তার পানির সমবণ্টনে এ সংক্রান্ত চুক্তি নিয়েও প্রধানমন্ত্রীর নয়াদিল্লি সফরে আলোচনা হোক।
কিছু অসমর্থিত সূত্র বলছে, শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফরের পর মে মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফর করতে পারেন। মমতা সাক্ষাৎকারে তার ধারণার কথা জানিয়ে বলেন, আগামী ২৫ মে বাংলাদেশে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে তার কাছে তথ্য আছে।
শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের আগে গোপাল বাগলের এই মন্তব্যকে ইতিবাচক বলে মনে করছে বাংলাদেশ ও ভারত দু’পক্ষেরই সংশ্লিষ্ট মহল।
সূত্র মতে, শেখ হাসিনার ভারত সফরে হাইটেকনোলজি, স্পেস, আইটি, ইলেক্ট্রনিক্স, সিকিউরিটি ও সিভিল নিউক্লিয়ার এনার্জি মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে চুক্তির বিষয়ে আলোচনার কথা রয়েছে। তিস্তা চুক্তির বিষয়েও আলোচনা হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
কিন্তু এর আগেও তিস্তা চুক্তির আলোচনা উঠেছিল, সে আলোচনা বরাবরই নিভে গেছে মমতার বিরোধিতার কারণে। এবার তার নিজে থেকেই আলোচনার প্রসঙ্গ তোলা এবং দিল্লির আলোচনা করার ইঙ্গিত চুক্তির বিষয়ে ফের আশান্বিত করছে ঢাকার বিশ্লেষকদের।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৭
এসএস/এইচএ/