খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব। ভারতবর্ষের অন্যান্যদের মতো কলকাতার বাঙালিরাও অনেক আগে থেকেই জমকালোভাবে উদযাপন করে দিনটি।
এই বড়দিন থেকে ইংরেজি বর্ষবরণ- সপ্তাহব্যাপী রঙিন হয়ে ওঠে কলকাতার পার্ক স্ট্রিট। আর তাই শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) থেকেই জমজমাট নগরীর রাজপথ থেকে অলিগলি।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) রাত থেকেই যে পুরোদমে বড়দিনের আনন্দ, উৎসবে মেতে ওঠা শুরু হবে; তা হালচাল দেখেই স্পষ্ট।
নিউ মার্কেটের শতাব্দী প্রাচীন কেকের দোকানের সামনে লম্বা লাইন, বহুজাতিক সংস্থার বিপণির সামনে থিক থিকে ভিড়, আলোয় ভেসে যাওয়া রংচঙে পার্ক স্ট্রিট; বার-নাইট ক্লাবে স্যাক্সোফোন-ড্রামসের যুগলবন্দি, লাল সান্তা টুপিতে কমবয়সীদের সাজগোজে জমজমাট কলকাতা।
শপিংমল থেকে শুরু করে পাড়ায়-পাড়ায় স্টেশনারি দোকানে বা কোথাও কোথাও চা-পানের দোকানেও মিলছে হরেক রকমের কেক।
সাউন্ড বক্সে চলছে বাংলা ও হিন্দি গান। মাঝেমাঝে কেউ একজন মাইক্রোফোনে ঘোষণা করছেন হরেক রকম কেকের ফিরিস্তি, দাম ইত্যাদি।
উৎসবের আনন্দ পুরোটাই উপভোগ করতে বাঙালি যে বিশ্বসেরা- তা অবশ্য নতুন করে বলার আর দরকার পড়ে না!
শিক্ষার্থীদের টানা শীতের ছুটি। আবার চাকরিজীবীদের শনি, রোব সোম– টানা তিনদিন ছুটি। তাই বড়দিনে নিউ মার্কেটের শপিং থেকে শুরু করে ভিড় উপচে পড়ছে চিড়িয়াখানা, জাদুঘর, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, ময়দান ও নন্দন চত্বরে।
কলকাতা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, সন্ধ্যা যত গড়াবে, পার্ক স্ট্রিটের ভিড় ততই ঘন হবে। তবে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কঠোর রয়েছে পুলিশ।
কলকাতা পুলিশের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শুধুমাত্র পার্ক স্ট্রিট এলাকাতেই বাড়তি ১৩শ’ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে গত ২২ ডিসেম্বর পার্ক স্ট্রিটের অ্যালেন পার্কে ক্রিসমাস উৎসবের উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জওহরলাল নেহরু রোড ও পার্ক স্ট্রিটের সংযোগস্থল থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত এলাকা প্রতিবারের মতো রাজ্য সরকারের উদ্যোগেই সুদৃশ্য আলোকসজ্জায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে।
শহরের চার্চ গুলোও সেজে ওঠেছে আলোকমালায়। পাশাপাশি বিভিন্ন মূর্তি তৈরি করে কোথাও যিশুর জীবন, কোথাও যিশুর জন্মবৃত্তান্ত ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নানা মডেলের মাধ্যমে। মানুষও ভিড় জমাচ্ছেন চার্চগুলোতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৭
ভিএস/এমএ