ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

জ্যোতির্বিদ্যা মেনে ভোটের দিন নির্ধারণ মমতার!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০১৮
জ্যোতির্বিদ্যা মেনে ভোটের দিন নির্ধারণ মমতার! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কলকাতা: জ্যোতিষ শাস্ত্র মেনে ভোটের দিন নির্ধারণ করেছেন কলকাতা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নাকি জ্যোতিষ শাস্ত্র মেনেই বড় পদক্ষেপ নেয় বলে জানা গেছে।

এদিকে আন্তর্জাতিক শ্রম দিবসে ভোটের দিন ঠিক হওয়ায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ অধিকাংশ রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলো।

সংগঠনের নেতৃত্বদের দাবি, শ্রম দিবসের দিন কর্মচারীদের কাজ করিয়ে গোটা শ্রমজীবী সমাজকে অপমান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।

ছবি: প্রতীকীজ্যোতিষ শাস্ত্র প্রসঙ্গে কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি, দ্বারা প্রভাবিত কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, শুনছি মুখ্যমন্ত্রী মমতা নাকি জ্যোতিষ শাস্ত্র মেনে ভোটের দিন ঠিক করেছেন। তাই ১ তারিখ উত্তরবঙ্গ এবং মুর্শিদাবাদ-বীরভূম বাদ দিয়ে রাজ্যের সর্বত্র পঞ্চায়েত ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গ্রহ-নক্ষত্র মেনে ওইদিন ভোট করলে নিশ্চিত সাফল্য জেনেই হয়তো তিনি তারিখ নির্ধারন করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের শ্রমিক-কর্মচারীদের যে অধিকার তা রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে লঙ্ঘিত হবে। এটা ঠিক নয়।

অন্যদিকে বামদের শ্রমিক সংগঠন রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজয়শঙ্কর সিনহা বলেন, জানি তিনি জ্যোতিষ মানেন। তবে মে দিবস দিনটি আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস হিসেবে গোটাবিশ্বে পালিত হয়। শ্রমিক-কর্মচারী থেকে শ্রমজীবী মানুষ প্রত্যেকে ওই দিনটিতে নিজের অর্জিত অধিকার রক্ষার শপথ নেন। এই ঐতিহাসিক দিনে কর্মীদের কাজ করিয়ে সমগ্র কর্মচারী সমাজকে কী বার্তা দিতে চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী?

একই সুরে ১ মে ভোটের দিন ঘোষণা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী ইউনিয়নগুলো।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিপুল রায় জানানা, মে দিবসের ঐতিহাসিক গুরুত্বকে খাট করতে রীতিমতো চক্রান্ত করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তাদের বক্তব্য, নবান্নের সরকারের চাপে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পঞ্চায়েত ভোটের তারিখ ঠিক করেছেন। অবিলম্বে ১ মে প্রথম দফার ভোটের তারিখ নির্ধারণ পরিবর্তনের দাবি কমিশনের কাছে জানাবেন তারা। শুধু তাই নয়, সংগঠনগতভাবে সদস্যদের মতামত নিয়ে লিখিত প্রতিবাদের একটি চিঠি দেবে কয়েকটি সংগঠন। যাতে ওইদিন কোনোভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

এ প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এমন কোনো নিয়ম নেই যে মে দিবসে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে না। মে দিবসে ছুটি, তাহলে পরের দিন হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৮
ভিএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।