ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

‘করোনা সুনামি’ আতঙ্কে মমতাকে চিঠি চিকিৎসকদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০২০
‘করোনা সুনামি’ আতঙ্কে মমতাকে চিঠি চিকিৎসকদের ...

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে এখনো করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। প্রতিদিনই গড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন।

এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা কড়া সুরক্ষাবিধি মেনে চলার নির্দেশ দিতে বলেছেন রাজ্য সরকারকে। আর সে কারণে পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসকরা করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।

পূজার বাকি আর দুই সপ্তাহের মতো। এর মধ্যেই রাজ্যে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে আশঙ্কা প্রকাশ করে তারা উল্লেখ করেছেন, ‘এবারের পূজায় যদি পথে মানুষের ঢল নামে তাহলে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ সুনামির আকার ধারণ করবে। ’

এর পাশাপাশি তারা উল্লেখ করেন, ‘প্রতিদিনই করোনা শনাক্তের রোগী বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছে। ফলে করোনার জন্য বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে বেডের সংখ্যা শূন্যের দিকে নামতে শুরু করেছে। অথচ করোনা শনাক্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে। যদি দুর্গাপূজার সময় পথে মানুষের ঢল নামে তাহলে সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে। ’

গত ১ দিনে রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৫২৬ জন। যার জেরে শুক্রবার (৯ অক্টোবর) রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৩০ জন।

রাজ্য সরকারের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সব জেলাতেই সংক্রমণ বেড়েছে। তবে সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। সেখানে গত একদিনে নতুন করে আরও ৭৬৫ জন মানুষ করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। তারপরই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। উত্তর ২৪ পরগনায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭১৭ জন। এর জেরে কলকাতায় মোট কোভিড ১৯ শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৫৮। এরপরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা ৬ হাজার ২৩৫ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ১ হাজার ৭৭৩ জন।

সে কারণেই কোভিড-১৯ কমিটির বিশেষজ্ঞ তথা রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের পরামর্শদাতা বিআর শতপথি জানান, মানুষের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে ইতোমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা হয়েছে। আমরা চিঠিতে উল্লেখ করেছি, সম্প্রতি কেরালায় ‘ওনাম’ উৎসবের পরই করোনা ছেয়ে গিয়েছে। একই পরিস্থিতি হয়েছে স্পেনে। সেখানেও ‘নারী দিবস’ পালন এবং ফুটবল ম্যাচ হওয়ায় করোনা মহামারি আকার ধারণ করেছে।

এই চিঠিতে পরপর তিনদিনের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাও যুক্ত করা হয়েছে। তাতে রয়েছে রাজ্যে ‘বিশ্বকর্মা পূজা’,  ‘মহালয়া’, ‘পূজার শপিং’ থেকেই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলে চিঠি লিখেছেন চিকিৎসকরা। তাই পূজা মণ্ডপে যেন ভিড় না হয় তার জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে। আর বাড়ির বাইরে বের হলে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হোক।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০২০
ভিএস/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।