কলকাতা: একসময় ভারতে যেসব রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ছিল একেবারে নামমাত্র, এখন সেই সব রাজ্যেই হু হু করে বাড়ছে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। ইতোমধ্যেই উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, হিমাচলপ্রদেশে করোনা মোকাবিলার জন্য উচ্চ পর্যায়ের দল পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।
অপরদিকে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশের মতো করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলোতে সংক্রমণ ফের বেড়েছে। এর পাশাপাশি হরিয়ানা, পাঞ্জাব, রাজস্থান, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ এমনকি হিমাচল প্রদেশেও কোভিড পজিটিভ কেস উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে ভারতে করোনা শনাক্তের তুলনায় কমছে দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৪৪ হাজার ৫৯ জন এবং একদিনে করোনাজয়ীর সংখ্যা ৪১ হাজার ২৪ জন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে দেশটিতে সোমবার (২৩ নভেম্বর) সকাল পর্যন্ত মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯১ লাখ ৩৯ হাজার ৮৬৬ জন এবং মোট করোনা মুক্তর সংখ্যা ৮৫ লাখ ৬২ হাজার ৬৪২ জন। সুস্থতার হার প্রায় ৯৪ শতাংশ।
এছাড়া দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণের জেরে মৃত্যু হয়েছে ৫১১ জনের। এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৭৩৮ জনের। মৃত্যুর হার প্রায় ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
করোনা আক্রান্তের পরিসংখ্যানের বিচারে ভারতের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বলেছেন, রাজ্যের মানুষ ‘সংযম ও শৃঙ্খলা’র মধ্যে থাকার কারণে করোনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে। সতর্কতামূলক নিয়ম না মানলে আগামী দিনে করোনা সুনামি হয়ে আছড়ে পড়তে পারে আরব সাগর তীরের রাজ্যটিতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২০
ভিএস/এইচএডি