ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ফল বাগানে পরীক্ষামূলক সবজি চাষ শুরু ত্রিপুরায়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০২০
ফল বাগানে পরীক্ষামূলক সবজি চাষ শুরু ত্রিপুরায় ফল বাগানে পরীক্ষামূলক সবজি চাষ শুরু ত্রিপুরায়। ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা (ত্রিপুরা): ফল বাগানে সবজিসহ ফুল চাষ করা বিষয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে ত্রিপুরা সরকারের উদ্যান বিভাগ।

বিশ্ব জুড়ে জনসংখ্যা বাড়ছে, কিন্তু তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জমি বাড়ছে না।

বরং মানুষের থাকার জন্য নতুন নতুন ঘর-বাড়ী তৈরি করতে হচ্ছে। এর ফলে কৃষি জমি কমে আসছে। অতিরিক্ত খাবার উৎপাদনের জন্য কৃষি গবেষকরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। সেই ধারাবিকতায় কাজ শুরু করেছে ত্রিপুরা সরকারের উদ্যান বিভাগ।

রাজ্যের প্রায় ৭০ শতাংশ টিলাভূমি এবং বাকি ৩০ শতাংশ সমতল কৃষি জমি। জমি যেন পতিত না থাকে, তাই ফলের বাগানগুলোতে একসাথে সবজি এবং ফুল চাষের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

প্রাথমিকভাবে জমির সুষ্ঠু ব্যবহারের জন্য আগরতলার পার্শ্ববর্তী নাগিছড়া এলাকার উদ্যান গবেষণা কেন্দ্রের মোসাম্বি গবেষণা প্লটের খালি জায়গায় পরীক্ষামূলক ভাবে মিশ্র সবজি চাষ করা হচ্ছে। কি করে রাজ্যে বেশি পরিমাণ জমিকে কৃষি কাজে ব্যবহার করা যায়, সেই লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উদ্যান বিভাগের সবজি উৎপাদন শাখার ডেপুটি ডিরেক্টর ড. রাজীব ঘোষকে।

তিনি বাংলানিউজকে জানান, মোসাম্বিসহ সবধরনের ফলের বাগানে নির্দিষ্ট পরিমাণ দূরত্বে গাছ লাগানো হয়। এই গাছগুলোর মাঝে বেশ কিছু পরিমাণ ফাঁকা জায়গা থাকে। এই জায়গাগুলো মূলত পতিত থাকে। বাগানের ফাঁকা জায়গাতে এ বছর থেকে মৌসুমি সবজি ও ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে। সবজির মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের কপি, ব্রোকলি ইত্যাদি। সবজির পাশাপাশি গাঁদা ফুলের চারা লাগানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ড. রাজীব ঘোষ বলেন, আগামী তিন বছর এভাবে মোসাম্বি বাগানের মধ্যে খালি জায়গায় মিশ্রভাবে মৌসুমী সবজি লাগানো হবে এবং নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা হবে। এরমধ্যে যেসব সবজিতে ভালো ফলন পাওয়া যাবে, সেসব সবজি চাষের বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এছাড়া সবজির পাশাপাশি গাঁদা ফুল চাষের বিশেষ কারণ রয়েছে। গাঁদা ফুল উজ্জল রঙের হওয়ায় পোকামাকড় গাঁদা ফুলে আক্রমণ করবে, ফলে সবজি কীটনাশক ছাড়াই জৈবিক উপায়ে রক্ষা করা যাবে।

চাষের এই পদ্ধতি কার্যকর হলে জমি আরও বেশি কার্যকর ব্যবহার হবে এবং সবজির উৎপাদন অনেক বেড়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফলে দ্রুত রাজ্যের সবজি চাষের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে এবং কৃষকের আয় বাড়বে বলেও এসময় জানান এই কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২০
এসসিএন/এইচএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।