আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরা বায়োটেকনোলজি কাউন্সিল স্কুল পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের বিজ্ঞানমনস্ক করে তোলার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। কাউন্সিল প্রতিটি স্কুলে ডিএনএ ক্লাব তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে এবং ইতোমধ্যে ৪২টি স্কুলে তা চালু করেছে।
ত্রিপুরা বায়োটেকনোলজি কাউন্সিলের ডেপুটি মেম্বার সেক্রেটারি ড. অঞ্জন সেনগুপ্ত বাংলানিউজকে জানিয়েছেন তারা মূলত দুইভাবে স্কুলে ডিএনএ ক্লাবগুলোকে সহায়তা দিচ্ছেন। এগুলো হলো- প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহ এবং আর্থিক অনুদান দিয়ে। যন্ত্রপাতির মধ্যে রয়েছে মাইক্রোস্কোপ, ক্যামিকেল ব্যালেন্স যন্ত্র, হারবেরিয়াম সিট, ডিজিটাল ক্যামেরা, বাইনোকুলার, কম্পিউটার, ম্যাগনিফাইং লেন্স ইত্যাদি। তাছাড়া ২০ থেকে ৪০ হাজার রুপির নগদ অর্থও দেওয়া হচ্ছে ক্লাবগুলোকে। এছাড়াও স্কুল চত্বরে ওষুধি গাছের বাগান তৈরি করার বিভিন্ন প্রজাতির গাছের সংরক্ষণ, সালোকসংশ্লেষ পরীক্ষা করা, রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, ক্যামিকেল ব্যালেন্স পরিক্ষাসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক পরীক্ষার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
জৈব বৈচিত্র্য, পরিবেশ সংরক্ষণের বিষয়ে উৎসাহিত করা, ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিজ্ঞান ভিত্তিক চিন্তাধারার প্রসার ঘটানোর জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভারত সরকারের জৈব প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এর অর্থের বরাদ্দ দিচ্ছে।
ছাত্র-ছাত্রীরা খুব আগ্রহের সঙ্গে ডিএনএ ক্লাবের কাজ করছেন বলে জানান ড অঞ্জন সেনগুপ্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২১
এসসিএন/এইচএডি/