কলকাতা: ‘আমি বিশেষ করে আমার যারা কর্মী ভাই-বোন এবং সাধারণ মানুষ আছেন, এটা ঠিক কাল (১০ মার্চ) আমার খুব জোর লেগেছিলো এবং আমার হাত ও পায়ের হাড়ে চোট আছে, এবং লিগামেন্টও চোট আছে। আমার মাথায় এবং চেস্টেও ব্যথা ছিলো’।
নন্দীগ্রামে গুরুতর আহত হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তড়িঘড়ি কলকাতার সরকারি পিজি হাসপাতালে বুধবার (১০ মার্চ) ভর্তি করা হয়েছে। তিনি এখন ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরিস্থিতি সামান্য স্থিতিশীল হতে মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘গত বুধবার আমার গাড়িতে বনেটে বসে যখন নমস্কার করছিলাম তখন ভিড় থেকে চাপ আসে। তাতে গাড়িটা চেপে যায় আমার পায়ের মধ্যে। এই অবস্থায় আমার কাছে যা ওষুধ ছিল সঙ্গে সঙ্গে আমি তা খেয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিই এবং বর্তমানে আমি ডাক্তারদের চিকিৎসাতেই আছি। আমি কর্মীদের কাছে অনুরোধ করব সবাই শান্তিতে থাকুন, সাবধানে থাকুন আর এমন কিছু করবেন না যাতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হয়। আমি আশা করি, দুই-তিন দিনের মধ্যে আমার পূর্ব নির্ধারিত যা কাজ ছিল সেগুলো শুরু করতে পারবো।
ওই হাসপাতাল থেকে বলা হয়, এখন স্থিতিশীল আছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, তার বাম পায়ের গোড়ালিতে চিড় আছে এবং ব্যথাও আছে। রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা কিছুটা কম। ইতোমধ্যে ৫ থেকে বাড়িয়ে ৯ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। তবে মুখ্যমন্ত্রীকে কবে ছাড়া হবে সে বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এদিন দুপুরের হাসপাতালের তরফে মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়, অর্থোপেডিক, নিউরোসার্জারি, নিউরো মেডিসিন, জেনারেল সার্জারি, কার্ডিওলজি, অ্যান্ডোক্রিনোলজি, জেনারেল মেডিসিন এবং অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের বিশেষজ্ঞরা মুখ্যমন্ত্রী পর্যবেক্ষণ করছেন।
বুধরাত রাতেই জানা যায় যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ের পাতায় চিড় ধরেছে। লিগামেন্ট, টিস্যুতেও চোট লেগেছে। এই ধরনের চোট-আঘাতে সাধারণত ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ বিশ্রামে থাকার প্রয়োজন হয়। হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভিভিআইপিদের জন্য বরাদ্দ সাড়ে ১২ নম্বর কেবিনে মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসা চলছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২১
এএটি