আগরতলা (ত্রিপুরা): একটা সময় ছিল যখন ত্রিপুরা রাজ্যের খোয়াই জেলার আশারামবাড়ী এলাকা, গোমতী জেলার করবুক, নতুন বাজার ইত্যাদি এলাকা এবং দক্ষিণ জেলার বিলোনিয়া এলাকায় প্রচুর পরিমাণে তরমুজ চাষ হতো। এসব এলাকায় উৎপাদিত তরমুজ রাজধানী আগরতলাসহ রাজ্যের প্রায় প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে যেত।
আগরতলার মহারাজগঞ্জ বাজার পাইকারি ফল ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক দেবাশীষ রুদ্র তরমুজ উৎপাদন কমে যাওয়া সম্পর্কে বলেন, রাজ্যে তরমুজ উৎপাদন করতে যে খরচ হচ্ছে সেই তুলনায় লাভ হচ্ছে না। এর চেয়ে অনেক কম দামে অন্য রাজ্য থেকে আসা তরমুজ আগরতলা বা বিভিন্ন মহকুমার বাজারগুলোতে বিক্রি হচ্ছে। ফলে রাজ্যের চাষিরা তরমুজ চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।
তিনি জানান, গত বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে চাহিদা থাকলেও ব্যবসায়ীরা তরমুজ বিক্রি করতে পারেননি। এবছর করোনা পরিস্থিতি কিছুটা ভালো তাই তরমুজের বিক্রি ভালোই হচ্ছে। এসময় প্রতিদিন আগরতলার মহারাজগঞ্জ বাজারে ৫ থেকে ৭ ট্রাক তরমুজ পাইকারি দামে বিক্রি হচ্ছে। এক একটি ট্রাকে করে ২০ থেকে ২২ টন করে তরমুজ আসছে।
তরমুজের দামের প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, সাধারণের সাধ্যের মধ্যে রয়েছে। পাইকারিভাবে প্রতি কেজি তরমুজ ১৫ থেকে ২২ রুপি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। খুচরা বাজারে এখন ১ কেজি তরমুজ ২০ থেকে ৩০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে রয়েছে মৌসুমী এই রসালো ফলটি।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২১
এসসিএন/এইচএডি/