ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ভারতের মাতৃভাষা শিক্ষায় এগিয়ে বাংলা, পিছিয়ে দক্ষিণ ভারত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৩ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০২১
ভারতের মাতৃভাষা শিক্ষায় এগিয়ে বাংলা, পিছিয়ে দক্ষিণ ভারত

কলকাতা: নিজের মাতৃভাষায় শিক্ষাদানে ভারতের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। রোবাবার (৪ জুন) এমনই এক রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জমা দিয়েছে দেশটির ইউনাইটেড ডিস্ট্রিক্ট ইনফর্মেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন (ইউডিআইএসই)।

 

ইউডিআইএসই -এর ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজ্য ভিত্তিক মাতৃভাষায় শিক্ষার নিরিখে দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে অধিকার করেছে পশ্চিমবঙ্গ।

রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের ৮৯ দশমিক ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী বাংলা মাধ্যম স্কুলে শিক্ষার্জন করে। রাজ্যটিতে মাত্র ৫ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষার্থী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ভর্তি হয়। এছাড়া উড়িষ্যায় বাংলাভাষী মানুষের বাস ১ দশমিক ২ শতাংশ। তাতেও ৮০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী উড়িষ্যার বাংলা মাধ্যম স্কুলে ভর্তি হয়।

এরপর রয়েছে কর্নাটক রাজ্য। সেখানে ৫৩ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী নিজেদের ভাষায় অর্থাৎ কন্নড় ভাষায় পড়াশোনাকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। তবে ওই রাজ্যে ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ শতাংশ বেড়েছে।

দক্ষিণ ভারতের অন্যান্য রাজ্যগুলোর অবস্থা শোচনীয়। অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলাঙ্গানা রাজ্যে ২৫ শতাংশেরও কম ছাত্রছাত্রী তেলুগু ভাষায় স্কুলে পড়াশোনা করে। এ দুই রাজ্যের সিংহভাগ শিক্ষার্থীর পরিবার সন্তানকে ইংরেজি মাধ্যমে ভর্তি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। এখানে ৭৩ দশমিক ৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ইংরেজি মাধ্যমে ভর্তি হয়।

একইভাবে মাতৃভাষায় শিক্ষাদানে পিছিয়ে পড়েছে তামিলনাড়ু এবং কেরল। তামিল ভাষায় পঠনপাঠনে শিক্ষার্থী মাত্র ৪২ দশমিক ৬ শতাংশ। কেরলে মালয়ালম ভাষায় পড়াশোনা করে মাত্র ৩৫ শতাংশ ছাত্রছাত্রী।

দেশজুড়ে প্রি-প্রাইমারি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সমস্ত সরকারি স্বীকৃত এবং অনুমোদিত বিদ্যালয়গুলোর ওপর কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের দ্বারা ইউডিআইএসই-কে দিয়ে সমীক্ষা করানো হয়। সেই রিপোর্টেই উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতের দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে নিজেদের মাতৃভাষা ছেড়ে ক্রমশ ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনার প্রবণতা বাড়ছে। তবে নিজের মাতৃভাষাকে ধরে রাখার জন্য স্বাভাবিকভাবে পশ্চিমবঙ্গের নাম মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের দিক দিয়ে প্রথমে থাকায় আনন্দিত প্রত্যেক বাঙালি।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২২ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০২১
ভিএস/এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।