ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

পশ্চিমবঙ্গে সেপ্টেম্বরের পরে খুলতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২১
পশ্চিমবঙ্গে সেপ্টেম্বরের পরে খুলতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে করোনা ভাইরাসের জন্য গত দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। তবে বর্তমানে রাজ্যটিতে টিকা দেওয়ার হার বেড়েছে।

ফলে করোনার তৃতীয় ঢেউ ভয়াবহ আকার ধারণ না করলে সেপ্টেম্বরের পরে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে রাজ্য সরকার।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন।

এর আগে সোমবার (২৩ আগস্ট) তিনি জানিয়েছিলেন, পশ্চিমবঙ্গে করোনার তৃতীয় ঢেউ ভয়াবহ আকার না নিলে দুর্গাপূজার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলার চিন্তা আছে। তবে চলমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

রাজ্যে চলমান করোনার কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই খুলে দেওয়া হয়েছে বাজার হাট, দোকানপাট, শপিংমল, সিনেমা হলসহ অফিস কল-কারখানা, ধর্মীয় স্থান। তবে মেট্রোরেল চালু থাকলেও রাজ্যে বন্ধ রয়েছে লোকাল ট্রেন চলাচল। তবে বিধিনিষেধ বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন।  

গত ২১ আগস্ট মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, রাজ্যে আগামী ৩০ আগস্ট পর্যন্ত বহাল থাকবে কঠোর বিধিনিষেধ। এর ফলে আগের ঘোষণা অনুযায়ী, যেসব ক্ষেত্রে সীমিত ছাড় ছিল তাই থাকছে এবং যা যা বন্ধ ছিল তা বন্ধই থাকবে।

ওই দিন তিনি বলেছিলেন, জানি, অনেকেরই কষ্ট হচ্ছে। তবে আমরা করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে কি অবস্থা হতে পারে তা একটু দেখে নিতে চাইছি। পাশাপাশি জেলাগুলোর গ্রাম পর্যায়ে টিকাকরণ আরও একটু সম্পন্ন হলে তবেই ঝুঁকি নিতে পারবো। গ্রামে-গঞ্জে টিকাকরণের গতি বাড়ানো হয়েছে। ৮০ শতাংশ সম্পূর্ণ হলে সবকিছুর খোলা অনুমতি দিতে পারে সরকার।

তবে সোমবার (২৩ আগস্ট) রাজ্যের রাস্তায় নেমেছিল বাম সংগঠনের ছাত্রদলগুলো। পথ অবরোধ করে তারা মমতার সরকারের কাছে দাবি তোলে, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ দেড় বছরে অনেকটাই পিছিয়ে গেছে। এভাবে রাজ্য সরকার তাদের শিক্ষাজীবন নষ্ট করে দিতে পারে না। অনেকেরই অনলাইনে ক্লাস করার মতো আর্থিক সামর্থ্য নেই। শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হোক। যেখানে হাট- বাজার, কলকারখানাসহ রাজ্য সরকার সবকিছুই খুলে দিয়েছেন সেখানে শুধুমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন বন্ধ থাকবে বলে প্রশ্ন তোলেন বাম সংগঠনের নেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২১
ভিএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।