আগরতলা (ত্রিপুরা): পশ্চিমবাংলার পাশাপাশি ত্রিপুরা রাজ্যে প্রথমবারের মতো উদযাপিত হলো তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
শনিবার (২৮ আগস্ট) ত্রিপুরা রাজ্যের মূল অনুষ্ঠানটি হয় আগরতলায়।
রাজধানীর কুঞ্জবন এলাকার সার্কিট হাউজের পাশে আয়োজিত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেস দলের মুখপাত্র কুনাল বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ ড. শান্তনু সেন, ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূলের নেতাকর্মী, সমর্থক এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা।
এদিন নেতাকর্মীরা প্রথমে মিছিল করে সার্কিট হাউজ সংলগ্ন এলাকায় আসেন। এরপর এখানে ভারতের জাতীয় পতাকা, তৃণমূল কংগ্রেস দলের পতাকা এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পতাকা উত্তোলন করেন।
এ সময় কুনাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পশ্চিমবাংলার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে সারা ভারতবর্ষে তৃণমূল কংগ্রেস এক বিকল্প শক্তি হিসেবে ওঠে আসছে।
তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবাংলার মানুষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডেইলি প্যাসেঞ্জারীকে ব্যর্থ করে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আবারো ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠা করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের আদর্শগত লড়াই ধর্ম নিরপেক্ষ, প্রগতিশীল এবং গণতান্ত্রিক। এই দল সমাজের সকল স্তরের এবং সকল ধর্মের মানুষের পাশে দাঁড়ায়। ত্রিপুরার মানুষ তাই তৃণমূল কংগ্রেসকে চাইছেন। রাজ্যের সমস্ত অংশের মানুষ আমাদের পাশে রয়েছেন।
তিনি বলেন, বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ত্রিপুরা রাজ্যে চাকরিচ্যুত দশ হাজার ৩২৩ জন শিক্ষককে চাকরিতে ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করবেন। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর এই সরকার ২০২০ সালে তাদের চাকরি থেকে পুরোপুরি ছাঁটাই করে দেয়। এসব চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকার পাশে রয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২১
এসসিএন/কেএআর