কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলো ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
শনিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) দিল্লি থেকে সাতটি বিধানসভা আসনের মধ্যে তিনটির উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে।
এর মধ্যে দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরে বিধানসভা আসনে উপ-নির্বাচন হবে ৩০ সেপ্টেম্বর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। একইদিনে ভোট হবে মুর্শিদাবাদ জেলার সামসেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে। ৩ অক্টোবর ভোটের ফলাফল।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের শাসন ক্ষমতা পেলেও পরাজিত হয়েছিলেন মমতা। তার মুখ্যমন্ত্রী পদ টিকিয়ে রাখতে আগামী ৬ মাসের মধ্যে কোনো একটি বিধানসভা আসন থেকে নির্বাচনে জয়ী হতে হবে। আর সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৪ নভেম্বর।
বিধানসভা নির্বাচনে ২৯৪টি আসনের বদলে নির্বাচন হয়েছিল ২৯২টি আসনে। ভোটের আগে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও সামসেরগঞ্জে দুই বাম প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় নির্বাচন হয়নি। এছাড়া আরও চারটি কেন্দ্র- কোচবিহার জেলার দিনহাটা, উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ, নদীয়ার শান্তিপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা গোসাবায় ভোট হলেও একাধিক কারণে উপ-নির্বাচন হবে। তবে এদিন এই চার আসনের তফসিল ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন।
এদিকে, এবারের উপ-নির্বাচনে অন্যান্য আসনের তুলনায় ভবানীপুর নিয়েই মানুষের আগ্রহ বেশি। কারণ, সেখানে প্রার্থী স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা। ২০১১ সালে প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেন তিনি। কিন্তু তখনও বিধায়ক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি।
পরে সুব্রত বক্সি ভবানীপুর আসনের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলে ছয় মাসের মধ্যে উপ-নির্বাচনে জয়ী হন মমতা। এরপর ২০১৬ সালেও তিনি এই আসনে জয়ী হয়ে দ্বিতীয়বারের মতো মুখ্যমন্ত্রী হন।
বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুরে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন রাজ্যের বর্তমান কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ২৮ হাজার ভোটে জিতেও ২১ মে ভবানীপুর বিধানসভা আসন থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি।
অন্যদিকে, এবারই কেন্দ্র বদল করে নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে লড়েছিলেন মমতা। হারতে হয় বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে। ফলে আরও একবার ভবানীপুরকে বেছে নিয়েছেন মমতা। যদিও এখনও দলের তরফে মমতার নাম ঘোষণা হয়নি। তবে তৃণমূলের প্রস্তুতি দেখে বোঝা যাচ্ছে- ভবানীপুর আসনে আবারও প্রার্থী হচ্ছেন মমতা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২১
ভিএস/এনএসআর