কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের ৩ বিধানসভা কেন্দ্রে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে উপ-নির্বাচন। এই নির্বাচনকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
ভোটের দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য মোট ৫২ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করেছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে ১৫ কোম্পানি বাহিনী রুট মার্চের জন্য ইতোমধ্যে রাজ্যে এসে পৌঁছে গেছে। প্রতি কোম্পানিতে থাকছেন ১০০ জন করে কেন্দ্রীয় সামরিক বাহিনী।
কমিশন সূত্রে জানা যায়, ভবানীপুরের ২৮৮টি বুথের জন্য ১৫ কোম্পানি, মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুরের ৩৬৩টি বুথের জন্য ১৮ কোম্পানি এবং সামসেরগঞ্জের ৩২৯টি বুথের জন্য ১৯ কোম্পানি বাহিনী নির্ধারণ করা হয়েছে।
একুশের বিধানসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছিল নির্বাচন কমিশন। তারাই বুথ পরিচালনা থেকে ভোটগ্রহণ এবং গণনা নজরদারি করেছিল। সে সময়ও নামে মাত্র ছিল রাজ্য পুলিশ। উপ-নির্বাচনেও সেই একই পন্থা কমিশনের।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচন অফিসের এক কর্তা জানান, বিগত ভোটের মতো এই ভোটেও মূল দায়িত্বে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। অর্থাৎ ১০০ শতাংশ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই হবে উপ-নির্বাচন।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, পশ্চিমবঙ্গের নিরিখে এই প্রথম কোনো উপ-নির্বাচন নিয়ে সরগরম রাজ্যের রাজনীতি।
নন্দীগ্রামে পরাজিত হওয়ার পর ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ কেন্দ্র থেকে জিতলেই মুখ্যমন্ত্রী পদ টিকিয়ে রাখতে পারবেন তিনি।
অপরদিকে গত বিধানসভার ২৯৪টির আসনের বদলে ২৯২টি কেন্দ্রে নির্বাচন হয়েছিল। মুর্শিদাবাদ জেলার দুটি কেন্দ্রে এক বাম ও কংগ্রেস প্রার্থী করোনায় মৃত্যু হওয়ায় সেখানে ভোট স্থগিত রেখেছিল কমিশন।
ইতোমধ্যে বিরোধী দল বিজেপি কমিশনে অভিযোগ করেছে, উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ থেকে গণনা, কোনো কাজ রাজ্য সরকারের কর্মকর্তারা যাতে নিয়ন্ত্রণ না করে। যেহেতু রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস, তাই ভোট প্রভাবিত হতে পারে।
যদিও এর কোনো উত্তর এখনও দেয়নি নির্বাচন কমিশন। বিজেপি ইতোমধ্যেই জানিয়েছে, দুই কেন্দ্রের প্রার্থী দিলেও তারা সর্বশক্তি দিয়ে লড়বে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে।
তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়েছে, সর্বশক্তি দিলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় কেউ ঠেকাতে পারবে না। ফলে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে উপ-নির্বাচন ঘিরে স্নায়ু যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১
ভিএস/জেএইচটি