আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা বুধবার (২৫ মে) দিল্লীতে ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। একই দিন তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর দিল্লিতে গিয়ে ভারতের রাষ্ট্রপতিসহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার প্রচলিত রীতি রয়েছে। এই রীতির অংশ হিসেবে দিল্লীর রাইসিনাহিলসের রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে রাম নাথ কোবিন্দের সঙ্গে সৌজন্যমূলক সাক্ষাত করেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।
পরে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের সঙ্গে সৌজন্য স্বাক্ষাত করেন।
মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে জানানো হয়েছে, সাক্ষাৎকালে ত্রিপুরা রাজ্যের সার্বিক বিকাশ সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার কাছে জানতে চান রাষ্ট্রপতি। রাজ্যের উন্নয়নে রাষ্ট্রপতিকে সার্বিক সহযোগিতার অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি 'স্বদেশ দর্শন' প্রকল্পে অনুমোদিত উদয়পুরের শ্রীশ্রীমাতা ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দির চত্বরের সৌন্দর্যায়ন এবং পরিকাঠামোগত নির্মাণ কাজের বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। রাষ্ট্রপতিকে ত্রিপুরা সুন্দরী দেবীর দর্শনের জন্য এবং ত্রিপুরা সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে সৌজন্যমূলক সাক্ষাতে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা রাজ্যে একটি সৈনিক স্কুল স্থাপন, নিশ্চিন্তপুরের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ইন্টিগ্রেটেট চেক পোস্ট স্থাপনের অনুরোধ জানিয়েছেন। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বেড়ার অসমাপ্ত কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সেই সঙ্গে মিজোরাম থেকে আসা রিয়াং শরনার্থীদের (ব্রু) পূনর্বাসনের বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে অতি দ্রুত সমাধানের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতে মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরা থেকে বি.আর.ও সরে যাওয়ার ফলে, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার লিচুবাগানে অবস্থিত ২৮.৯ একর এবং উত্তর জেলার পানিসাগরে ২৬.৩২ একর অব্যবহৃত জমি রাজ্য সরকারের কাছে হস্তান্তরের বিষয়ে আলোচনা করেন।
ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের সঙ্গে সাক্ষাতে মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরা রাজ্যের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প খাতে ১২০০ কোটির নতুন তহবিল, বিশ্বব্যাংক সংযোজিত জনজাতি অধ্যুষিত ব্লকগুলিতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং পরিষেবা বিষয়ক প্রকল্পে, ডিসেম্বর ২০২২ সালের আগে রাজ্য সরকারকে চুক্তি স্বাক্ষরে সহায়তার বিষয়ে আন্তরিক বিবেচনার জন্য দৃষ্টিআকর্ষণ, ত্রিপুরা ‘এলিমেনাট’ প্রকল্পের প্রাথমিক অনুমোদনসহ ত্রিপুরায় ল্যান্ডস্কেপ এবং ইকোসিস্টেম ব্যবস্থাপনা উন্নীতকরণ বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে উভয়ের মধ্যেl
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কৌশলগত নীতি অনুসারে আঞ্চলিক সহায়তার চিহ্নিত ক্ষেত্রে প্রকল্পসমূহের দ্রুত রূপায়নের জন্য অর্থমন্ত্রণালয়ের কাছে সহায়তা চাওয়া হয়েছে বলেও মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২২
এসসিএন/এসএ