ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ত্রিপুরায় উপনির্বাচনের দুই প্রার্থীর নাম ঘোষণা কংগ্রেসের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫২ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০২২
ত্রিপুরায় উপনির্বাচনের দুই প্রার্থীর নাম ঘোষণা কংগ্রেসের

আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরা বিধানসভার উপনির্বাচনের জন্য চারটি আসনের মধ্যে দুটি কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে জাতীয় কংগ্রেস দল। আগরতলা কেন্দ্রে সুদীপ রায় বর্মন ও টাউন বড়দোয়ালী বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে আশিক সাহার নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

 

শনিবার (৪ জুন) আগরতলা কংগ্রেস ভবনে এক সংবাদ সম্মেলন করে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা।  

পাশাপাশি এদিন এক যোগদান সভার আয়োজন করা হয়। এতে ত্রিপুরা রাজ্যের শাসক দল বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস দল ছেড়ে জাতীয় কংগ্রেসে মোট ৯৩জন নেতা-নেত্রী যোগ দেন। তাদের হাতে হাতে দলের পতাকা তুলে দেন উপস্থিত নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে সুদীপ রায় বর্মণ, আশিষ সাহা, প্রদেশ কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি গোপাল রায়, মুখপাত্র প্রশান্ত ভট্টাচার্য্য সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।  

সুদীপ রায় বর্মণ বলেন, যোগদানের আগ্রহ দেখানোর পর এই সব নেতার কাছে তারা জানতে চান কেন তারা কংগ্রেসে আসতে চাচ্ছেন। তখন বিজেপির নেতারা বলেন যে, এটি এমন একটি দল যেখানে থেকে মানুষের জন্য কোনো কাজ করা সম্ভব নয়। নেতাদের একাংশ নিজেদের স্বার্থে লুটছেন। কর্মীদের কাজ করিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি দলকে সমাজদ্রোহীদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পক্ষান্তরে কংগ্রেস এমন একটি দল, যারা জাত, ধর্ম, বর্ণ কোন কিছু বিচার করে না। সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করছে। সকলের কল্যানে কাজ করছে।  

তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা বলেছেন, এই দলের উদ্দেশ্য মহৎ নয়। বিজেপিকে পার পাইয়ে দেওয়ার জন্য লোক দেখানো লড়াই হচ্ছে।  

সিপিআইএম দল দেকে আসা নেতারা বলেছেন, এই দল দিয়ে বিজেপিকে পরাজিত করা সম্ভব নয়। সকলের উদ্দ্যেশ্য যেহেতু বিজেপিকে হারানো এবং একমাত্র কংগ্রেস দল বিজেপিকে হারাতে পারবে তাই তারা সকলে কংগ্রেস দলে এসেছেন।  

যোগদানকারীদের মধ্যে রয়েছেন ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস দলের সাবেক সভাপতি দুলাল দাস। তিনি নিজে এদিন কয়েকজন সহকর্মীদের নিয়ে যোগদান করেছেন। তার সমর্থকরাও কংগ্রেসে আসছেন।  

রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস বহু চড়াই উৎরাই পার করেছে। এই সময়ে অনেক নেতা তৃণমূলে এসেছেন আবার দল ছেড়ে চলেও গিয়েছেন। কিন্তু দুলাল দাস একদিনের জন্য অন্য কোথাও যাননি। অবশেষে তিনি কংগ্রেসে যোগ দিলেন। ঠিক একই ভাবে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস দলের প্রতিষ্ঠাতা নেতাদের মধ্যে একজন জ্যোতির্ময় দে। তিনিও এদিন কংগ্রেসে চলে আসেন।  

এদিন যোগদানের পর দুলাল দাস বলেন এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস ছাড়া দেশের মানুষকে বাঁচানোর কোনো ক্ষমতা কারও নেই। তাই তিনি সকল সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন।  

এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুদীপ রায় বর্মণ বলেন, খুব দ্রুত কংগ্রেস উপনির্বাচনের জন্য বাকি প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবে। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, সমভাবাপন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সমঝোতা করে একটি আসন তারা ছেড়ে দিতে পারেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০২২
এসসিএন/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।