ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ডেঙ্গু: করপোরেশন অভিযান বিজেপি-পুলিশ হাতাহাতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০২২
ডেঙ্গু: করপোরেশন অভিযান বিজেপি-পুলিশ হাতাহাতি

কলকাতা: ডেঙ্গু দমনে ব্যর্থ কলকাতা করপোরেশন- এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) করপোরেশন অভিযানে নামে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির যুবমোর্চা। কিন্তু অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে পড়ে কলকাতার সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের একাংশ।

ডেঙ্গু দমনের মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় বিজেপি কর্মীরা সেটি না মেনে এগিয়ে যেতে চাইলে বাধা দেয় পুলিশ। পরে দুই পক্ষে হাতাহাতি থেকে ধস্তাধস্তি পরে সংঘর্ষ হয়। দুই পক্ষের অনেকেই এ ঘটনায় আহত হয়েছেন। যদিও পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হয় পুলিশ।

বিজেপির অভিযোগ, শহরে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়লেও কলকাতা করপোরেশনের বিকার নেই। ডেঙ্গুর তথ্যও গোপন করা হচ্ছে বলে জানায় দলের নেতাকর্মীরা। আক্রান্তদের ডেঙ্গুর কারণে মৃত্যু হলেও ডেড সার্টিফিকেটে সেটি না দেখিয়ে অন্য কারণ দেখানো হয়েছে বলেও তারা অভিযোগ করে। সব অভিযোগ এক জায়গায় নিয়ে বৃহস্পতিবার কলকাতা করপোরেশন অভিযানের ডাক দেয় বিজেপি যুবমোর্চা।

বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এড়াতে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের নির্দিষ্ট এলাকার সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে দেয় কলকাতা পুলিশ। পরে মিছিল নিয়ে ওই ব্যারিকেড ভেঙে দেয় বিজেপি কর্মীরা। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ।

জানা গেছে, কলকাতা করপোরেশনের দিকে মিছিল এগিয়ে যেতে ধরলে পুলিশ বাধা দেয়। মিছিলের নেতৃত্বে থাকা বিজেপি নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ অভিযান তুলে নিতে আহ্বান জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিন্তু নেতারা কথা না শুরে সড়কে বসে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে তাদের টেনে-হিঁচড়ে সরাতে চেষ্টা করে পুলিশ। জোর করে তুলে প্রিজন ভ্যানে নিয়ে যাওয়া হয় কয়েকজনকে। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ, ফ্যাশান ডিজাইনার বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, কলকাতা পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিতকেও জোরকরে গাড়িতে তোলে পুলিশ। তাদের আটক করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়।

মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন, বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল, সজল ঘোষ, মীনাদেবী পুরোহিতসহ অন্যরা।

বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রসঙ্গে অগ্নিমিত্রা বলেন, কয়েক মাসের মধ্যে কলকাতায় ডেঙ্গু যেভাবে বেড়েছে, তাতে রাজ্য সরকার উদাসীন। বহু মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। শহর সংলগ্ন এলাকা বাদ দিলে শুধুমাত্র কলকাতাতেই ৫০ জন মারা গেছেন। করোনার সময় যেভাবে রাজ্য সরকার তথ্য কারচুপি করেছিল, ডেঙ্গুর বেলায়ও তাই করছে।

তিনি আরও বলেন, কতজন আক্রান্ত হয়েছেন, কতজন মারা গেছেন- কেউ জানে না। কলকাতা করপোরেশন ও রাজ্য সরকার তথ্য লোপাট করছে। ডেঙ্গুতে মৃত্যু হলেও কারণ অন্য দেখানো হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, ৩ নভেম্বর, ২০২২
ভিএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।