নীলফামারী: উত্তরের জনপদ নীলফামারীর ৬ উপজেলায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। দিনের বেলায় সূর্যের তাপ কিছুটা অনুভূত হলেও সন্ধ্যার পর এবং শেষ রাতে শীতের তীব্রতায় কাতরাচ্ছেন মানুষ।
উত্তরের জেলা নীলফামারীতে শীতের তীব্রতা বেশি। তাই এখানে শীতবস্ত্রের চাহিদাও থাকে বাড়তি। এই চাহিদা পূরণে জেলার সৈয়দপুরে তিন শতাধিক ক্ষুদ্র কারখানা গড়ে উঠেছে। যেখানে ঝুট কাপড় দিয়ে বিভিন্ন ধরনের শীতবস্ত্র তৈরি হয়। এসব শীতবস্ত্রের দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় নিম্নআয়ের মানুষ তা সহজেই কিনতে পারেন।
এদিকে এসব কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন কয়েক হাজার শ্রমিক। এবিষয়ে এক নারী শ্রমিক বলেন, আগে বেশ কষ্টে ছিলাম। কিন্তু এখন এখানে কাজ করে স্বাচ্ছন্দ্যে সংসার চালাচ্ছি।
ঠাণ্ডা বাড়লে শীতবস্ত্রের বিক্রিও বাড়বে এমন আশা প্রকাশ করে এক কারখানা মালিক বলেন, এই কারখানায় কাজ দিনরাত ২৪ ঘণ্টাই চলে। আমরা উৎপাদিত পণ্য পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করার পাশাপাশি ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়েও সরবরাহ করি। একসময় এসব ঝুট পণ্য ভারত, ভুটান ও নেপালে রফতানি করা হতো। কিন্তু কয়েক বছর ধরে তা কমেছে। তবে স্থানীয় বাজারসহ সারা দেশে এই পণ্যের চাহিদা বেড়েছে।
সৈয়দপুর ক্ষুদ্র গার্মেন্টস মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিশিষ্ট রফতানিকারক মো. ফাইয়াজুল হক সাজু বলেন, শীত একটু কম হওয়াতে এখনও আমাদের বাজার জমেনি। শীতের তীব্রতা বাড়লে যেমন আমাদের স্থানীয় বাজারে চাহিদা বাড়বে, ঠিক তেমনি নেপাল, ভুটান থেকেও ক্রয়াদেশ পওয়া যাবে।
এ প্রসঙ্গে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল রায়হান জানান, আমি সৈয়দপুরে নতুন এসেছি। তবে সৈয়দপুরে অন্তত ৫ হাজার নারী-পুরুষ গার্মেন্টসের ঝুট কাপড় দিয়ে শীতবস্ত্র তৈরির সঙ্গে জড়িত বলে শুনেছি। এঝাড়া এখানকার কারিগররা খুবই দক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২২
এমএমজেড